বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা। গতকাল বিকাল ৫টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও অংশ নেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগকারীরা আগামী নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, তপন চৌধুরী, এ কে আজাদ, নাসিম মনজুর, কামরান টি রহমান, আহসান খান চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, এম এ হাতেম, ফজলে এশান শামীম, ডা. রশিদ আহমেদ হোসেনীসহ ১১ জন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা অংশ নেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকটিতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বিশেষ করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিস্থিতি এতে স্থান পায়। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত দেশের ব্যবসাবাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং বিনিয়োগ পরিবেশ স্থিতিশীল হবে না। এজন্য যত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকার দায়িত্ব নেবে তত তাড়াতাড়ি দেশের সার্বিক অবস্থায় স্থিতিশীলতা আসবে।
ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক শেষে আমীর খসরু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যৎ অর্থনীতি, বিনিয়োগের সম্ভাবনা রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণ স্থগিত করা প্রয়োজন। এ বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘে সরকারকে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, এলডিসি উত্তরণ স্থগিত নয় বরং অন্তত তিন বছর পেছানো প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ। এ ছাড়া ২০ জন শ্রমিক আবেদন করলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে, এমন কিছু কার্যকর হলে ইউনিয়নের অপব্যবহার হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।