পোষ্য কোটা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে কোটা স্থগিত করেছে প্রশাসন। তবে কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা। এদিকে কোটা বাতিলের আন্দোলনে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এতে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকট হয়েছে।
এ বিষয়ে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশন এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছুটা সংকট আছে। দ্রুতই তা উত্তরণ করে নির্বাচন যাতে যথাসময়ে হয়, সেই প্রস্তুতি চলছে। আমরা অনেকটা প্রস্তুত।’ জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখার আলম মাসুদ বলেন, ‘কোটা বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) স্থগিতই থাকছে। রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে করার পক্ষে মত দিয়েছে সিন্ডিকেট।’
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সতিমির যৌথসভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে মর্মাহত। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। শিক্ষার্থী নামের একদল সন্ত্রাসী বিগত সময়েও জিম্মি করেছিল। বিচার চেয়ে পাইনি। আজও শিক্ষক-কর্মকর্তা লাঞ্ছনায় একটি নামমাত্র তদন্ত কমিটি করেছে। যেটাও আশার আলো দেখবে না। এই লাঞ্ছনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন থাকবে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উভয়পক্ষের বিপরীতমুখী অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হতে পারে। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আসন্ন রাকসু নির্বাচন বন্ধের শঙ্কাও প্রকট হচ্ছে।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর কোটার যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই ইস্যুকে সামনে এনে যারা রাকসু বানচাল অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা সফল হবে না। কোটার দাবিতে যারা কর্মবিরতিতে যাবে তাদেরও বিতাড়িত করা হবে।’