খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছরে এরই মধ্যে ৪৮৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৮ জন। আক্রান্তদের সর্বোচ্চ যশোরে ৭৮, নড়াইলে ৭৫, খুলনা জেলায় ৬৭, মেহেরপুরে ৪৩ ও মাগুরায় ৫৮ জন রয়েছেন। এর বাইরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৯ জন ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসা নিয়েছে। বাগেরহাটে আরও ১৮, ঝিনাইদহ ৩৭, কুষ্টিয়ায় ২১ জন ও সাতক্ষীরায় ছয়জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ ছাড়া ধীরগতির উন্নয়নকাজে বিভিন্ন স্থানে ড্রেন বন্ধ থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের কয়েক লাখ মানুষ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করেন। বদ্ধ পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটের মুখপাত্র ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেশি অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, বমি ভাব, ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ। তিনি বলেন, খুলনায় সর্বশেষ ৬ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে দিনে-রাতে বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার করা, শরীরে মশা প্রতিরোধক লোশন কিংবা স্প্রে করা যেতে পারে।
খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, চলতি বছরে খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের নিয়মিত সেবা প্রদান করা হয়।