খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। স্বাধীনতার পর এবারই দেশে প্রথমবারের মতো রেকর্ড ধান-চাল মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে ২২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। স্বাধীনতার পরে ও আগে এই পরিমাণ খাদ্য কোনো সরকার মজুদ করতে পারেনি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর জেলা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মৌলিক অধিকারের প্রথম ও প্রধান নিয়ামক হলো খাদ্য। যেকোন দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দেশের যে কোন জরু অবস্থার মোকাবেলা করতে খাদ্য মজুদ দেশেকে স্বস্তি দেয়। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে। আবার ধান চালের বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সেজন্য মিল মালিকদের কাছ থেকে সরকার প্রতিবছর চাউল কিনে মজুত করে। এই সময় দেশে ধান উৎপাদন নেই। দেশে খাদ্যের অবাধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার গত ১৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে গরীব মানুষদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচি চলবে ছয় মাস ব্যাপী। সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৫ লাখ কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন। শেরপুরে কার্ডধারীর সংখ্যা আরও অন্তত পাঁচ হাজার বাড়াতে মন্ত্রণালয় বরাবর জেলা প্রশাসককে আবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
মহাপরিচালক বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর ডিলার পরিবর্তনের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মামলা জটিলতায় স্থগিতাদেশের কারণে ডিলার পরিবর্তন করা যায়নি। আশা করছি, মামলা শেষ হওয়ার পর দ্রুতই সেগুলোও পরিবর্তন করা হবে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার চায় প্রান্তিক জনসাধারণ যাতে সঠিকভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে পায়। এজন্য সবার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোন ভুলত্রুটি বা অসঙ্গতি পেলে নির্দ্বিধায় সেগুলো তুলে ধরবেন।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভূঁইয়াসহ শেরপুরের ৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ