ময়মনসিংহের ভালুকায় চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের ধলিয়া গ্রামে শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার পাশাপাশি পরিবারের সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সকালের খাবার খাওয়ার পর থেকেই শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও ঘুমভাব দেখা দেয়। দুপুরের খাবারের পর সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে রাতের কোনো একসময় অচেতন অবস্থার সুযোগে ডাকাতদল বাড়িতে প্রবেশ করে আলমারি ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকা ও অন্তত ১৫-১৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম রনুর পুত্রবধূ ইতি আক্তার বলেন, মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে দেখি ঘরের আসবাবপত্র ছড়ানো-ছিটানো, আলমারি খোলা। তখনই বুঝতে পারি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম রনু (৬০), তার স্ত্রী রহিমা (৫০), পুত্রবধূ ইতি আক্তার (৩০), অন্য ছেলে আমিরুল ইসলামের স্ত্রী বিপাশা (২৭), বিপাশার বাবা বাবুল মিয়া (৫৫), বাড়ির মিস্ত্রি তাজউদ্দিন এবং শিশু জীম আক্তার (৯) অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে সবাইকে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে গুরুতর অসুস্থ রহিমা ও বাবুল মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আফাজ উদ্দিন সরকার জানান, প্রথমে খবর পান রনুর পরিবারের সবাই অসুস্থ। পরে রাত তিনটার দিকে ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের তছনছ অবস্থা দেখতে পান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই