ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বন্ধন ও উৎসব পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তীতে তা স্থগিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, “যেখানে জ্বালানি তেলের দাম কমছে এবং সরকারের নতুন কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, সেখানে ভাড়া বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে পরিবহন সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদিও জনরোষের মুখে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেছেন, তবে বাতিল না করায় যেকোনো সময় আবার কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়ে গেছে।”
রফিউর রাব্বি অভিযোগ করেন, সারা দেশেই গণপরিবহন খাত দীর্ঘদিন ধরে অরাজকতায় জর্জরিত। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ খাত নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের চাঁদাবাজির ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় প্রশাসন ও বিআরটিএ বরাবরই পরিবহন সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে। তার দাবি, শেখ হাসিনার শাসনামলে সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান পরিবহন খাত থেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নারায়ণগঞ্জের পরিবহন সিন্ডিকেটের অনেকে পালিয়ে গেছে বা আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ভাড়া কমবে। কিন্তু উল্টো ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভবানী শংকর রায় ও বাসদ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল