ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন ইয়াসিন আরাফাত। তিনি বলেছেন, ‘ডাকসুতে নির্বাচিত হলে ক্যাম্পাসে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করব দলমতনির্বিশেষে সবার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের। যেখানে কোনো আধিপত্যের রাজনীতি থাকবে না। স্বাধীনতার মূল চেতনা ও ২৪-এর আবেদন সামনে রেখে আমরা রাজনীতি করব।’ ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট দুটি কারণে শিক্ষার্থীদের বলব-আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য। একটি হচ্ছে আমরা বাংলাদেশের জাতীয় সব সংগ্রাম ধারণ করি এবং সে অনুযায়ী রাজনীতি করি। কোনো কোনো সংগঠন কেবল ৭১ ধারণ করে, আবার কোনো সংগঠন কেবল ২৪ ধারণ করে। কিন্তু আমরা এ রকম বিভাজিত নই। আমরা সব জাতীয় সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করি।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীর নানান কুকর্মের নিউজ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কিংবা কেন্দ্রীয়-কোনো স্থানেও নেতৃবৃন্দ বা সদস্যদের নিয়ে কোনো প্রকার বিতর্ক নেই। আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন-গুমের মতো কোনো ধরনের তথ্য বা নিউজ কেউ দেখাতে পারবে না। আমাদের নেতা-কর্মীরা ইসলামি আদর্শ ধারণ করে। ধর্মীয় কিংবা অন্য যে কোনো দিক থেকে তারা স্বচ্ছ চরিত্রের অধিকারী। ছাত্রলীগের অত্যাচারের সময় যেখানে গুটিকয় সংগঠন বাদে কেউ সম্মুখসারিতে এসে আন্দোলন করেনি, সেখানেও আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালেও ডাকসু নির্বাচনে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। সব অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সরব ছিলাম। কোটা আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে নারীদের শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। এ ছাড়া হিজাব ফোবিয়া, নির্বিচার হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। গণরুম-গেস্টরুমের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠ ছিল সোচ্চার। এমন কোনো আন্দোলন নেই, যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল না।’
নির্বাচিত হলে করণীয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে একাডেমিক যত বিষয় আছে সেগুলোকে প্রাধান্য দেব। শিক্ষা, আবাসন, গবেষণা, চিকিৎসা, খাবার, নিরাপত্তা বিশেষ করে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা পরিকল্পনায় রাখব যেন মেয়েদের আবাসিক হলগুলো ক্যাম্পাসের নিকটতম স্থানে হয়। এ ছাড়া রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ডিজিটাইলাইজেশন নিয়ে আমরা কাজ করব। আমরা ক্যাম্পাসে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করব দলমতনির্বিশেষে সবার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থান। যেখানে কোনো আধিপত্যের রাজনীতি থাকবে না। স্বাধীনতার মূল চেতনা ও ২৪-এর আবেদন সামনে রেখে আমরা রাজনীতি করব।’