শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৭, শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫ আপডেট: ১০:৩০, শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি

প্রতি মাসে পাচ্ছেন ঢাবির ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
প্রতি মাসে পাচ্ছেন ঢাবির ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী

বুকভরা সাহস ও হাজারো স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়তে আসেন দেশসেরা মেধাবীরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এসে প্রথমেই পড়েন অর্থনৈতিক সংকটে। বর্তমান সময়ে টিউশন পাওয়াও কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। কী করবেন ভেবে দিশাহারা হন স্বপ্নদেখা তরুণরা।

ঢাবির এমনই হাজারো তরুণের ভরসা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় মেধাবী অথচ অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে শুভসংঘ তৈরি করছে নতুন ইতিহাস। দরিদ্র মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য প্রয়াস, দায়িত্বশীল ও মানবিক মানুষ হয়ে দেশ গঠনের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে তরুণদের। বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তি পেয়ে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া হাজারো তরুণপ্রাণ এখন নিজেকে সৃষ্টিশীল করে তুলতে ব্যস্ত।

তাঁরা জানিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তাপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এই অনুভূতিগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবেন জাকারিয়া জামান। তৃতীয় পর্ব ছাপা হলো আজ।

বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের সেবা করব

মোত্তাকিনা আক্তার
মোত্তাকিনা আক্তার, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ

রংপুরের প্রত্যন্ত এক সাধারণ গ্রামে আমার জন্ম, যেখানে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল সংগ্রামের। ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি। তখন থেকে আমাদের দরিদ্র পরিবার হয়ে ওঠে আরো অসহায়। বাবা দরিদ্র কৃষক, তাঁর সামান্য আয় দিয়েই চার বোন ও এক ভাইয়ের সংসার এবং লেখাপড়ার খরচ সামলাতে হয়। একার আয়ে সন্তানের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বাবার জন্য নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। শৈশব থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল আমার গভীর ভালোবাসা। অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী হলেও আমি কখনো হার মানিনি।

নিজের প্রচেষ্টা আর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিই আমাকে আজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। একসময় মনে হতো স্বপ্নগুলো বুঝি থেমে যাবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ তা হতে দেয়নি। তারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছে। ইমদাদুল হক মিলন স্যার অফিসে ডেকে নিয়ে টাকা দিয়েছেন, সাহস দিয়েছেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমার জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে। এই বৃত্তি কেবল আর্থিক সহায়তা নয়, আমাকে দিয়েছে সাহস, আত্মবিশ্বাস ও নতুন উদ্দীপনা। পাঠ্যবই, নোট, প্র্যাকটিক্যাল উপকরণ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমি সংগ্রহ করতে পারছি, যা হয়তো আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। পড়াশোনায় মনোযোগ বেড়েছে বহুগুণে। আজ আমি শুধু একজন শিক্ষার্থী নই, বরং একজন স্বপ্নবাজ তরুণী, যার লক্ষ্য বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের সেবা করা।

বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি সেই স্বপ্নপূরণের পথে আমাকে এগিয়ে নিচ্ছে। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি। তারা অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা করছে। ভবিষ্যতে আমিও অন্যের পাশে দাঁড়াতে চাই। বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমার কাছে কেবল সহায়তা নয়, এটি আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটি আশীর্বাদ। সারা জীবন বসুন্ধরা শুভসংঘকে কৃতজ্ঞতা ও গর্বের সঙ্গে হৃদয়ে ধারণ করে রাখব।

লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি বসুন্ধরা শুভসংঘ

আফসানা আক্তার, সমাজকল্যাণ বিভাগ
আফসানা আক্তার, সমাজকল্যাণ বিভাগ

নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে আমি, যেখানে জন্মে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা স্বপ্নের মতোই মনে হতো। ছোটবেলায়ই ভাবতাম, আমি কি কলেজে ভর্তি হতে পারব? পরিবারের সামর্থ্য ছিল না পড়াশোনার খরচ বহনের। তবু এসএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জন এবং শিক্ষকদের সহায়তায় কলেজে ভর্তি হই। এরপর ধীরে ধীরে স্বপ্ন বুনতে থাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।

আল্লাহর অসীম রহমত আর কঠোর পরিশ্রমে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও খাবার খরচ জোগানো সব সময় সহজ ছিল না। টিউশন পেলে কিছুটা স্বস্তি মিলত, কিন্তু টিউশন পাওয়া যেত না। চতুর্থ বর্ষে এসে পড়াশোনার চাপ, শারীরিক অসুস্থতা এবং আর্থিক দুরবস্থা—সব মিলিয়ে আমি হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিলাম।

ঠিক সেই সময়ে আমার জীবনে দেবদূত হয়ে আবির্ভূত হলো বসুন্ধরা শুভসংঘ। দুশ্চিন্তার রেখা মুছে দিয়ে অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। এই বৃত্তিই এখন আমার প্রতি মাসের খরচ চালাতে সাহায্য করছে। বাবার মৃত্যুর পর যে হতাশা আমাকে গ্রাস করেছিল, সেই হতাশা কমেছে বৃত্তি পাওয়ার পর।

আমি এখন মনোযোগী হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার জীবনের সব সংকটে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। জীবনের ক্রান্তিলগ্নে তাদের অপরিমেয় অবদান কখনো ভুলতে পারব না। চোখ ভিজে আসে কৃতজ্ঞতায়। আমার মতো আরো লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্নের সারথি হোক প্রাণের সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ।

স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ সহজ করে দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ

মাসুমা আক্তার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
মাসুমা আক্তার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আমি। বাবা একজন জেলে। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় যেখানে, সেখানে আমার পড়াশোনার স্বপ্ন লালন করা সহজ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই নানা প্রতিকূলতার মাঝে সংগ্রাম করেছি, আর সেই সংগ্রামের মাঝেই বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তা পেয়েছি।

সেই সহযোগিতার হাত ধরে আজ আমি দেশের অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শুরু হয় নতুন যুদ্ধ। ঢাকা শহরে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, ভাড়া, খাওয়ার খরচ—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে দুঃসহ। টিউশনি পাই না, বৃত্তিও ছিল না, দিন দিন হতাশায় ভুগছিলাম।

মনে হচ্ছিল, এত দিনের লালিত স্বপ্ন হয়তো অর্থের অভাবে থেমে যাবে। স্বপ্ন ছিল বড় কিছু করা, কিন্তু বাস্তবতার কঠিন দেয়ালে এসে তা যেন আছড়ে ভেঙে পড়ছিল। বসুন্ধরা শুভসংঘ বটবৃক্ষের ছায়া হয়ে আমার পাশে দাঁড়ায়। তাদের দেওয়া শিক্ষাবৃত্তি শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, আমার জীবনে আশার আলো।

যখন মনে হচ্ছিল সব পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শুভসংঘ তখনই স্বপ্ন দেখিয়েছে, শক্ত হাতে সাহস জুগিয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে যে ভরসা দিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই সহায়তা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে স্বপ্নপূরণে অর্থের অভাব বাধা হতে পারে না, যদি পাশে থাকে সহমর্মিতা, সাহস আর ভালোবাসার হাত। আজ আমি গর্বিত যে আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ পরিবারের একজন সদস্য। তাদের এই মহৎ উদ্যোগ শুধু আমার জীবন নয়, অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন বদলে দিচ্ছে।

তারা স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন সাজায়, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথও খুলে দেয়। বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আমার হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। একদিন আমিও অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যেমন বসুন্ধরা শুভসংঘ আজ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।

আমাকে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে

বৈশাখী রানী গোপ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ
বৈশাখী রানী গোপ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ

জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোর অন্যতম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর। স্বপ্ন ছিল অনেক বড়, কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা কখনোই সচ্ছল ছিল না। বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

সংসার চালানোই যেখানে কষ্টকর, সেখানে মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ বহন করাটা ছিল প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই হিসাব-নিকাশে দিন কাটত, কোথায় কম খরচ করা যায়, কিভাবে চলা সম্ভব। সেই সঙ্গে মেসে থাকার খরচ, যাতায়াত, বাজার সদাই ও আনুষঙ্গিক খরচের চাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে অথচ কোনো টিউশনও পাওয়া যাচ্ছিল না।

আগে শুনতাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে টিউশনির অভাব হয় না, কিন্তু বাস্তবতা সেটা ভুল প্রমাণ করে দিল। আর্থিক চাপে একসময় মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, ঠিক সেই সময়ে একজন সিনিয়র ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তির কথা। তাঁর উৎসাহে আবেদন করি। ভাইভা বোর্ডে ইমদাদুল হক মিলন স্যার আমাদের কথা মন দিয়ে শোনেন।

তিনি শুধু শোনেননি, অনুভবও করেছেন। যখন জানলাম আমি নির্বাচিত, মনে হয়েছিল, কেউ সত্যি আমার কাঁধে হাত রেখেছেন। এই বৃত্তির ফলে বাবার ওপর থেকে আর্থিক চাপ অনেকটাই কমেছে। এখন নিজের পড়াশোনা ও ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছি অনেক বেশি। আগে যেসব দুশ্চিন্তা মাথার ভেতর ঘুরত, তা অনেকটাই কমেছে।

শুভসংঘ শুধু অর্থ সাহায্য করেনি, সাহস আর ভালোবাসাও দিয়েছে। আমার মা এখন ভয়ে ভয়ে থাকেন না। এই সহযোগিতা আমাকে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। আমি চাই নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলতে, যাতে একদিন আমিও কারো পাশে দাঁড়াতে পারি, ঠিক যেমন বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।

আমার লক্ষ্য মৎস্য গবেষক হওয়া

শান্তা ইসলাম, ফিশারিজ বিভাগ
শান্তা ইসলাম, ফিশারিজ বিভাগ

চার ভাই-বোন আর মা-বাবা মিলিয়ে আমাদের ছয় সদস্যের পরিবার। বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সীমিত আয়ের মধ্যেও আমাদের পরিবার মোটামুটি ভালোভাবেই চলছিল। হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় বাবার চাকরি হারানোতে নেমে আসে চরম আর্থিক সংকট।

পরিবারের সেই বিপর্যয় আমার পড়াশোনাকেও অনিশ্চিত করে তোলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত, বই-খাতা কেনা, প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ—সবকিছুই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল। অর্থের অভাবে আমাকে অনেক দিন ক্লাস মিস করতে হয়েছে। কখনো কখনো হতাশা আর মানসিক চাপে মনে হয়েছে, পড়াশোনা বাদ দিয়ে হয়তো কাজ শুরু করতে হবে।

চোখের সামনেই স্বপ্ন ভেঙে পড়ছিল, ঠিক তখনই বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার জীবনে আলোর দিশা হয়ে আসে। বৃত্তি দিয়ে আমাকে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখায়। এখন আমি নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতে পারি, বই-খাতা কিনতে পারি, নোট ফটোকপি বা অ্যাসাইনমেন্ট প্রিন্ট করতে পারি, যা আগে অসম্ভব মনে হতো। পরিবারের চাপও কমেছে।

মা-বাবার চোখে স্বস্তির ঝিলিক দেখতে পাই। আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে একজন মৎস্য গবেষক হওয়া। বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, জলজ প্রাণীর সংরক্ষণ ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করতে চাই। গবেষণার পথ সহজ নয়। ল্যাবরেটরির কাজ, ফিল্ড ট্রিপ, সরঞ্জাম কেনা সবই ব্যয়বহুল। কিন্তু বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তা আমাকে সাহস জুগিয়েছে, আত্মবিশ্বাসী করেছে। আমিও একদিন আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। আজ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সমাজে এখনো কিছু মহৎ মানুষ আছেন, যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে অন্যের মুখে হাসি ফোটান।

অভিভাবক হয়ে পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ

মিম আকতার, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ
মিম আকতার, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একদিকে আনন্দের সীমা থাকেনি, অন্যদিকে নতুন চিন্তায় মনে প্রশ্ন উঠেছিল, কিভাবে ভর্তি হব? কোথা থেকে এত খরচ জোগাড় করব? কলেজ থেকে প্রাপ্ত সহায়তায় ঢাকায় ভর্তি হতে পারি। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে আনন্দ ছিল, কিন্তু সঙ্গে চিন্তা কোথায় থাকব, খরচ কোথা থেকে আসবে, খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন হবে? বাবা ফুটপাতে দোকান করেন, মা গৃহিণী। ঝড়বৃষ্টি ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বাবার দোকান সব সময় খোলা থাকে না। পরিবার চালানোও খুব কষ্টসাধ্য।

ছোট ভাই তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। পরিবারের সামর্থ্য সীমিত। আমাকে ঢাকায় রেখে পড়াশোনা করানো ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। প্রথম এক মাস উত্তরায় আত্মীয়র বাসায় থাকি।

দৈনিক যাতায়াতের কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারিনি। তখনই বসুন্ধরা শুভসংঘ অভিভাবক হয়ে পাশে দাঁড়ায়। বন্ধুদের মাধ্যমে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তির খবর জানতে পারি। সব কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করি।

ইমদাদুল হক মিলন স্যার আমাদের আশ্বাস দেন। পরের মাস থেকে বৃত্তি পাওয়া শুরু করি। এখন আর বাবার কাছে টাকা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। বসুন্ধরা শুভসংঘ শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। চেষ্টা যেখানে থেমে যায়, বসুন্ধরা শুভসংঘ সেখানে নতুনভাবে স্বপ্ন বুনতে শেখায়। তাদের অনুপ্রেরণায় আমি নতুন উদ্যমে জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে এগিয়ে যেতে পারছি।

বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব

ইসরাত জাহান ঈশিতা, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ
ইসরাত জাহান ঈশিতা, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ

লালমনিরহাট জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে আমি। আমার এত দিনের পথচলা কখনোই সহজ ছিল না। ছোটবেলায়ই মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। সেই থেকে বাবা আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি, খোঁজখবর নেওয়া তো দূরের কথা।

আমার কিংবা মায়ের খরচও তিনি কখনোই দেননি। মা ছিলেন আমার একমাত্র ভরসা। তিনি একা হাতে আমাকে বড় করেছেন। কখনো স্বাস্থ্যকর্মী, কখনো আবার কোনো ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কাজ করেছেন। আমার পড়াশোনার খরচ জোগাতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। করোনা মহামারির সময় মায়ের চাকরিও চলে যায়। তখন আমাদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা। সংসার চালানোই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আমার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।

মা পরে একটি স্থানীয় ফার্নিচারের দোকানে কাজ পান, কিন্তু বেতন এতটাই কম ছিল যে থাকা-খাওয়া, পড়াশোনার খরচ কোনোটাই ঠিকমতো মেটানো যেত না। আমি অনেক চেষ্টা করেও কোনো টিউশনি পাইনি। মনে হচ্ছিল, হয়তো আমার স্বপ্ন এখানেই থেমে যাবে, ঠিক সেই অন্ধকার সময়েই আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। ইমদাদুল হক মিলন স্যার আমাকে সাহস দেন, বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেন। শুভসংঘ থেকে আমি যে মাসিক বৃত্তি পাই, তা দিয়ে আমার থাকার খরচ, খাওয়াদাওয়া এবং পড়াশোনার ব্যয় মেটাতে পারি।

আমার জীবনে মানসিক স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমি নতুন উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি। আমার স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে ভবিষ্যতে একজন সমাজসেবী হওয়া, যাতে আমার মতো স্বপ্ন দেখা কিন্তু প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকব।

এখন আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাতে ঘুম ভেঙে যায় না

আশামনি, দর্শন বিভাগ

মা পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম হওয়ায় অভাব ছিল আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তারপর আমি ঢাকায় চলে আসায় মায়ের ওপর চাপটা যেন আরো বেড়ে গেল। আমি, ছোট দুই বোন সব মিলিয়ে সংসারটা চালানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছিল। মাসে মাসে যখন মায়ের কাছে খাওয়ার জন্য টাকা চাইতাম, এর থেকে কষ্টের আর কিছু ছিল না।

বুঝতাম মায়ের কাছে হয়তো এই টাকাটাও নেই যে কাল চাল কিনবেন কী দিয়ে, তবু মা ৩০০ থেকে ৪০০ করে টাকা পাঠাতেন। স্যারদের কাছে বসুন্ধরা শুভসংঘের ব্যাপারে জানতে পারলাম এবং আবেদন করলাম। এখন আর আগের মতো প্রতি মাসে খাওয়া-পরা নিয়ে আমার মায়ের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় না। বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তি পেয়ে নিশ্চিন্তে নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারছি।

কান্নাভরা গলায় মাকে আর বলতে হয় না, মা খাইনি। আগে সকালে খেতাম না। দুপুরে ভাত কিনতাম, ওটাই অর্ধেক করে রেখে দিতাম রাতের জন্য। মা শুঁটকি গুঁড়া করে দিতেন, ১০ টাকায় পাঁচটা পেঁয়াজ কিনে প্রতিদিন রাতে অর্ধেক পেঁয়াজ কেটে শুঁটকি গুঁড়া দিয়ে ভাত খেতাম।

একটু ভাত খেয়ে পানি খেয়ে পেট ভরতাম। শেষ কবে পেট ভরে ভাত খেয়েছিলাম বলতে পারতাম না। এখন তিন বেলা অন্তত ভাতটা খাই। একটু শান্তিতে পড়াশোনা করতে পারি। মা ও বোনদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা থেকে দূরে আছি।

বসুন্ধরা শুভসংঘকে কোটি কোটি শুকরিয়া মাসের শুরুতে টাকাটা দিয়ে আমার সারা মাসের দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য। এখন আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাতে ঘুম ভেঙে যায় না। আমাকে নিয়ে মায়ের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি। আমি ও আমার পরিবার বসুন্ধরা শুভসংঘের ওপর চিরকৃতজ্ঞ থাকব। ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপ।

অসহায় শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের আলোকবর্তিকা

সিরাজুম মুনিরা, ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগ

জয়পুরহাট জেলার এক ছোট্ট মফস্বল গ্রামে আমার বাড়ি। শৈশব থেকেই মেধাবী হিসেবে পরিচিত ছিলাম, যা স্বপ্ন জাগিয়েছে একদিন পড়াশোনার মাধ্যমে জীবনে অনেক বড় কিছু করার। আমি জানতাম দরিদ্র পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমার পরিবার ছিল একেবারেই অসচ্ছল।

বাবা মসজিদে ইমামতি করে সংসার চালাতেন। বর্তমানে বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মা-বাবা দুজনই প্রায় অক্ষম হয়ে পড়েছেন। আমাদের কোনো আবাদি জমি নেই, আর বাবার পক্ষে আমার উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করা ছিল অসম্ভব। তবু সাহস করে আমি ভর্তি হই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অর্থাভাবে ভর্তি হওয়ায় প্রথমে পড়াশোনা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। ঠিক এমন সময়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তির ব্যাপারে জানতে পারলাম। ইমদাদুল হক মিলন স্যার বরাবর আবেদন করি এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে নির্বাচিত হই। বর্তমানে শুভসংঘ থেকে প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট আর্থিক সহায়তা পাই, তা আমার জীবনে এক বিরাট স্বস্তি এনে দিয়েছে।

এখন আমি নির্বিঘ্নে আমার পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারি। আজ আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেবল একটি সংগঠন নয়, বরং অসহায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের এক আলোকবর্তিকা। আমি ও আমার মতো হাজারো শিক্ষার্থী বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় নতুন আশার আলো খুঁজে পাচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আক্কেলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আক্কেলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
ঢাকা কলেজের পুকুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফিরে এলো নান্দনিক পরিবেশ
ঢাকা কলেজের পুকুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফিরে এলো নান্দনিক পরিবেশ
পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে অগ্নিনির্বাপনে সচেতনতা সভা
পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে অগ্নিনির্বাপনে সচেতনতা সভা
ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
গঙ্গাচড়ায়  বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতা সমাবেশ
গঙ্গাচড়ায়  বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতা সমাবেশ
চুয়াডাঙ্গায় ৪০ নারী পেলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন
চুয়াডাঙ্গায় ৪০ নারী পেলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে কালকিনি শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে কালকিনি শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডা
জীবননগরে ২০ নারীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন উপহার
জীবননগরে ২০ নারীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন উপহার
গাইবান্ধায় মাদক ও বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণায় বসুন্ধরা শুভসংঘ
গাইবান্ধায় মাদক ও বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণায় বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ইমামের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ইমামের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের ক্যাম্পেইন
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের ক্যাম্পেইন
ইডেন কলেজে বসুন্ধরা শুভসংঘের সাংস্কৃতিক উৎসব
ইডেন কলেজে বসুন্ধরা শুভসংঘের সাংস্কৃতিক উৎসব
সর্বশেষ খবর
কুমিল্লায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন
কুমিল্লায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাঁতার কাটতে গিয়ে রাবি ছাত্রীর মৃত্যু, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
সাঁতার কাটতে গিয়ে রাবি ছাত্রীর মৃত্যু, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন কমলা হ্যারিস
আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন কমলা হ্যারিস

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ ঘণ্টা পর মতিঝিলে-শাহবাগ অংশে চালু মেট্রোরেল
৭ ঘণ্টা পর মতিঝিলে-শাহবাগ অংশে চালু মেট্রোরেল

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

স্বর্ণের দাম আরও কমল
স্বর্ণের দাম আরও কমল

১২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেট সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সিলেট সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

১৯ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

২০ মিনিট আগে | জীবন ধারা

‘যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই’
‘যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই’

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘টার্মিনালের মালিকানা বিদেশীদের কাছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই’
‘টার্মিনালের মালিকানা বিদেশীদের কাছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই’

২৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তুর্কমেনিস্তানের কাছে হেরে জয়রথ থামল বাংলাদেশের
তুর্কমেনিস্তানের কাছে হেরে জয়রথ থামল বাংলাদেশের

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে শটগান উদ্ধার
সিলেটে শটগান উদ্ধার

৩৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর
টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

হিন্দি সিরিয়ালে মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস!
হিন্দি সিরিয়ালে মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস!

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

২৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা
২৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা

৪৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় মা ও ছেলের মৃত্যু
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় মা ও ছেলের মৃত্যু

৫১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে: আমানউল্লাহ আমান
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে: আমানউল্লাহ আমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোমবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ : ইসি সচিব
সোমবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ : ইসি সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিম সিদ্ধ করার সঠিক সময়
ডিম সিদ্ধ করার সঠিক সময়

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে আবু জাফর আহাম্মেদ বাবুলের পক্ষে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ
নারায়ণগঞ্জে আবু জাফর আহাম্মেদ বাবুলের পক্ষে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দুদকের হাত থেকে বাঁচতে পারলেও আল্লাহর হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই’
‘দুদকের হাত থেকে বাঁচতে পারলেও আল্লাহর হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেকনাফে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য আটক
টেকনাফে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট চালু
অবশেষে চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট চালু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: ফয়জুল করীম
দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: ফয়জুল করীম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রহণযোগ্য সমাধান ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট : মান্না
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রহণযোগ্য সমাধান ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট : মান্না

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামের উইকেট নিয়েও ভাবনায় হোপ
চট্টগ্রামের উইকেট নিয়েও ভাবনায় হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণমাধ্যমের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে : তথ্য উপদেষ্টা
গণমাধ্যমের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে : তথ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন
২৩ বছর পর দেশে ফিরছেন অভি, বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল
মালয়েশিয়ায় নেমেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার স্বজন পরিচয়ে ইউরোপে আশ্রয় চান পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা
হাসিনার স্বজন পরিচয়ে ইউরোপে আশ্রয় চান পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাকে নির্দোষ বললেন ডন
সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাকে নির্দোষ বললেন ডন

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমাহীন পাল্লার পরমাণু মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি রাশিয়ার
সীমাহীন পাল্লার পরমাণু মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি রাশিয়ার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন
ফ্রান্সে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ-হত্যার দায়ে প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট হলেও দলীয় প্রতীকে ভোটে আপত্তি বিএনপির, ইসিতে চিঠি
জোট হলেও দলীয় প্রতীকে ভোটে আপত্তি বিএনপির, ইসিতে চিঠি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪ দিন পরেই বাতিল হবে অতিরিক্ত সিমকার্ড, বিটিআরসির জরুরি বার্তা
৪ দিন পরেই বাতিল হবে অতিরিক্ত সিমকার্ড, বিটিআরসির জরুরি বার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে নিহতের পরিবার : ফাওজুল কবির
৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে নিহতের পরিবার : ফাওজুল কবির

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ মেট্রোরেল বন্ধে দুর্ভোগ
হঠাৎ মেট্রোরেল বন্ধে দুর্ভোগ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক
নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস
বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রোনালদোর ৯৫০তম গোলে আল নাসরের টানা ছয় জয়
রোনালদোর ৯৫০তম গোলে আল নাসরের টানা ছয় জয়

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা
‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশে শুরু মেট্রো চলাচল
উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশে শুরু মেট্রো চলাচল

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ
রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বেশি পানি পানে হতে পারে কিডনির ক্ষতি
বেশি পানি পানে হতে পারে কিডনির ক্ষতি

১১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিদেশের শ্রমবাজারে অশনিসংকেত
বিদেশের শ্রমবাজারে অশনিসংকেত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণ খুলে পড়লো মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড
যে কারণ খুলে পড়লো মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘সমালোচনাগুলো ওর মনে আঘাত ফেলেছে’
‘সমালোচনাগুলো ওর মনে আঘাত ফেলেছে’

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একটা দল শেখ হাসিনার মতোই মিথ্যাচার করছে: রিজভী
একটা দল শেখ হাসিনার মতোই মিথ্যাচার করছে: রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল ফার্মগেটে নিহত যুবকের
মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল ফার্মগেটে নিহত যুবকের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মঙ্গলবার ভারতে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
মঙ্গলবার ভারতে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন কলের অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান
বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান

নগর জীবন

নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!
অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর
তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা
এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা

প্রথম পৃষ্ঠা

তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা
তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন

নগর জীবন

দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট
দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়
নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়

প্রথম পৃষ্ঠা

একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু
একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু

শোবিজ

ফুরফুরে মেজাজে বুবলী
ফুরফুরে মেজাজে বুবলী

শোবিজ

বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা
বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ
বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ

শোবিজ

চুয়াডাঙ্গায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৪০ অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন
চুয়াডাঙ্গায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৪০ অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন

নগর জীবন

জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের
জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবদল নেতা নিহত

নগর জীবন

পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি
ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি

মাঠে ময়দানে

বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ

নগর জীবন

অ্যালানার ৭ উইকেট
অ্যালানার ৭ উইকেট

মাঠে ময়দানে

সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য
সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য

দেশগ্রাম

গ্যাসের খোঁজে তোড়জোড়
গ্যাসের খোঁজে তোড়জোড়

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি
অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি

শোবিজ

অনুশীলনে টাইগাররা
অনুশীলনে টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

বিরতিতে জাহ্নবী
বিরতিতে জাহ্নবী

শোবিজ

নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ
নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ

মাঠে ময়দানে

জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে
জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে

দেশগ্রাম