বাংলাদেশে নারীর অধিকার হুমকির মুখে- এ ধারণা বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। স্থানীয়দের বাধায় নারীদের তিনটি ফুটবল ম্যাচ বন্ধ হওয়ায় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করা হয়। এতে বলা হয়, বাধাগ্রস্ত একটি ম্যাচ পরে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুটি ম্যাচ পুনরায় নির্ধারণ করা হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার শেষ হওয়া মাসব্যাপী যুব উৎসবে সারা দেশে ২ হাজার ৯৩১টি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টে ২৭ লাখ ৪০ হাজার নারী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৫৫টি ছিল ফুটবল ম্যাচ, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার দর্শক তা উপভোগ করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই এত বিপুল সংখ্যক নারী বিশাল পরিসরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। মাত্র তিনটি ম্যাচ কিছু স্থানীয় মানুষ, যার মধ্যে কিছু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীও ছিল, তারা ব্যাহত করেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ঘটনাগুলো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কিছু সংবাদমাধ্যম নারীদের ফুটবল আক্রমণের মুখে পড়েছে- এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তিনটি ম্যাচ সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া দুঃখজনক। তবে ‘বাংলাদেশে নারীর অধিকার হুমকির মুখে’- এই ধারণা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।