দিনাজপুরের পার্বতীপুরের আনন্দবাজার গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারের সন্তান মোস্তাফিজুর রহমান ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তির মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তবে অর্থাভাবে তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ৮৯তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩০তম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৮তম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯৫তম এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১তম মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোস্তাফিজ।
ছেলের এই অসাধারণ সাফল্যেও খুশি হতে পারছেন না বাবা খোরশেদ আলম। দিনমজুরের কাজ করে কোনওরকমে চলে তিন সদস্যের পরিবার। পরিবারের একমাত্র সম্বল একটি গরু বিক্রি করে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ও যাতায়াতের খরচ মেটানো হয়েছে।
মোস্তাফিজ স্থানীয় উত্তরা ইসলামিয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তার স্বপ্ন আইন বিভাগে পড়াশোনা করে বিচারক হওয়া এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা।
মোস্তাফিজ বলেন, শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাইমিনুল ইসলাম ও সোহেল রানা স্যারের প্রতি। তবে ভর্তি ও পরবর্তী খরচ বহনের সামর্থ্য নেই পরিবারে।
মোস্তাফিজের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, ছেলেটা নিজের চেষ্টায় এতদূর এসেছে। এখন ওর পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই। তিনি সরকারের পাশাপাশি দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করেছেন ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ