খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, কৃষকের স্বার্থে বিগত বছরের চেয়ে কেজিতে চার টাকা বেশি দামে ধান-চাল ক্রয় করছে সরকার। সরকারের বেশি দামে কেনার কারণে বাজারে চালের দাম কিছুটা বাড়বে। এই বৃদ্ধিকে মানুষ যাতে সহজভাবে নেয় সে ব্যাপারে তাদেরকে বুঝাতে হবে। কারণ কৃষক যে পরিমাণ পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, তাকে যদি আমরা উপযুক্ত মূল্য দিতে না পারি, তাহলে দেশের কিছুই হবে না।
এই সরকারের মেয়াদ কতদিন থাকবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটির জবাব একমাত্র প্রধান উপদেষ্টাই দিতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গোদামে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পরে দেখার হাওরে ধানকাটা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত বছরের তুলনায় ধান চাল সংগ্রহের পরিমাণও আমরা বাড়িয়েছি। কারণ ঘটতি মেটাতে আমাদেরকে খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়ে। আমরা যদি কৃষক পর্যায় থেকে বেশি করে সংগ্রহ করতে পারি তবে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে প্রকৃত জেলে বাছাইয়ের জন্য মেকানিজম থাকতে হবে। যেটি রয়েছে সেটি শতভাগ স্বচ্ছ নয়। সেটা মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়াও সম্ভব না। তবে এক্ষত্রে আমাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি করতে হবে। যাতে প্রকৃত জেলেরা জলমহালগুলোতে মৎস্য আহরণ করতে পারে। তবে প্রকৃত জেলেদের জলমহাল ইজরা নেওয়ার মতো টাকা পয়সা থাকার কথা নয়, যে কারণে তাদের পেছনে লোক থাকতে পারে।
এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ