পঞ্চগড়ে পৃথক দুটি সীমান্ত এলাকায় আবারও ১৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার অমরখানা এবং সিংরোড সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জন শিশু, ৫ জন নারী এবং ৫ জন পুরুষ রয়েছেন। সকালে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে স্থানীয় ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আটককৃতদের বাড়ি নড়াইল, বাগেরহাট এবং যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন চাকলাহাট ইউনিয়নের সিংরোড বিওপির সীমান্ত পিলার ৭৬৪/১৯ এর খুনিয়াপাড়ায় ১০ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। একই সময়ে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৩/৩ এস সংলগ্ন পাঁচজনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। সকালে বোর্ডবাজার এবং খুনিয়াপাড়া থেকে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন খুলনা জেলার দেগলিয়া উপজেলার পথের বাজার মমিনপুর এলাকার মৃত ধলা মিয়া শেখের পুত্র ইব্রাহিম শেখ (৬০) তার ছেলে রাজু ইব্রাহিম শেখ (২৭), একই উপজেলার তেরখাদা বারসাত এলাকার এনদাদুল হকের স্ত্রী আখি (৪০) ও তার পুত্র হামজা শেখ (৯)। নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার গাজির হাট বইখাতা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার স্ত্রী রুনু শেখ (৪০) তার তিন ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৪০), ইয়াছিন মোল্লা (২০) ও আমিন মোল্লা (১১)। একই এলাকার এশানুর শেখের স্ত্রী আয়শা (১৮), রফিকুল শেখের মেয়ে সাহেরা (০৯)
এদেরকে পঞ্চগড়ের শিং রোড বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে ভারতীয় কৈলাশ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা পুশ ইন করে। খুনিয়াপাড়া এলাকায় তাদের আটক করে বিজিবি। অন্যদিকে অমরখানা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে ভারতের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা ৪ জন বাংলাদেশীকে পুশইন করে। তাদেরকে বোর্ডবাজার এলাকায় আটক করে বিজিবি। আটককৃতরা হলেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাসদেবপুর এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আসাদুজ্জামান (২৯), তার স্ত্রী কুলসুম (২৯), তাদের দুই ছেলেমেয়ে আদনান (১২) ও আয়শা (১০) এবং বাগের হাট জেলার সাইন্দা কাঠালতলা এলাকার ইব্রাহিম মন্ডলের স্ত্রী নিপু আক্তার (৩০)। সদর পঞ্চগড় থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা তাদের নিরাপদে রাখার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে রাখার ব্যবস্থা করেছি। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে আমরা নজরদারি করছি। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী নাগরিক কিনা তা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ