হজযাত্রীদের নিবন্ধনে লটারি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে কুয়েত। স্বচ্ছতা এবং দেশের সব হজযাত্রীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আগামী বছর যেসব কুয়েতি নাগরিক এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যক্তি হজ করতে যাবেন, তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হবে এই লটারি ব্যবস্থা।
কুয়েতের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই ব্যবস্থা কুয়েতের সমন্বিত ই-গভর্নমেন্ট প্ল্যাটফরম সাহেলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে এবং নির্ধারিত ডেডলাইনের আগ পর্যন্ত আগ্রহীরা হজের জন্য এই প্ল্যাটফরমে আবেদন করতে পারবেন।
ডেডলাইন শেষ হওয়ার পর সেই আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সংখ্যা জানিয়ে দেবে সরকার। সাহেল অ্যাপের মাধ্যমেই জানানো হবে এই তথ্য।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাহেল প্ল্যাটফরমে আবেদন করতে হলে ১০ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ১৬ টকা) জমা দিতে হবে এবং এই অর্থ অফেরতযোগ্য। যাদের আবেদন গৃহীত হবে, অর্থাৎ যারা হজযাত্রী হিসেবে নিবন্ধিত হবেন, তাদেরকে নিবন্ধন বাবদ পরিশোধ করতে হবে আরও ১ হাজার ৫০০ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ২ হাজার ৪৪৩ টাকা)। যদি কোনও হজযাত্রী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এই অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হন— তাহলে তার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এবং তার জায়গায় অপেক্ষমান তালিকায় আগে থাকা কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পুরুষ আবেদনকারীরা চাইলে একা অথবা সর্বোচ্চ ৫ জন আত্মীয়ের একটি গ্রুপ গঠন করে আবেদন করতে পারবেন। নারীদের অবশ্য সেই সুযোগ নেই। হজযাত্রী হিসেবে সরকারি নিবন্ধনের জন্য যেসব নারী আবেদন করবেন, তাদেরকে অবশ্যেই আবেদন ফর্মে এমন একজন মাহরামের (পুরুষ অভিভাবক) নাম উল্লেখ করতে হবে— যার হজযাত্রার অভিজ্ঞতা আছে, অর্থাৎ যিনি আগে হজ করেছেন। সূত্র: গালফ নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ