কোরবানির বাকি আর মাত্র চারদিন। তবে এখনো বরিশালের গরুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠেনি। ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট সংশ্লিষ্টদের দাবি বৃহস্পতি ও শুক্রবার জমজমাট বেচা বিক্রি হবে।
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাহফিল মাঠে প্রতি বছরই প্রচুর গরু বেচাকেনা হয়। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে ঈদ উল আজহার পূর্ব রাত পর্যন্ত বেচাবিক্রি চলবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু নিয়ে এ হাটে বিক্রির জন্য আসেন বিক্রেতারা।
এছাড়াও আশে-পাশের খামার ও গৃহস্তের লালন-পালন করা গরু পাওয়া যায় এ হাটে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, এ হাটে গরু কিনলে মাত্র একশ টাকা ও ছাগল কিনলে ৫০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। তাই বিগত সময়ের মতো এবারো প্রচুর ক্রেতা সমাগম হবে। ঈদের আগ পর্যন্ত দিনের সাথে সাথেও রাতেও বেচাকেনা হবে। একই ভাবে নগরীর বাঘিয়া, কালিজিরা ও দপদপিয়া ব্রীজ ঢালে এবং সোনামিয়ার পোল এলাকায় হাটে পশু উঠতে শুরু করেছে। ক্রেতারা এসে দাম দেখে চলে যাচ্ছেন। কিছু কিছু ক্রেতারা কিনতেও শুরু করেছেন।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, দাম দেখতে এসেছেন। দাম গত বছরের মতো নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ঈদের দুই একদিন পূর্বে কেনা শুরু করবেন।
এবার বরিশাল নগরীসহ জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ৯৩ টি হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। এসব হাটের জন্য ৩১ টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে বলে প্রানী সম্পদ দপ্তর জানিয়েছে। নগরীর চারটি হাটে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চারটি টিম কাজ করবে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাটে মানসম্মত পশু নিশ্চিত করতে দুটি হাটের জন্য একটি করে টিম ইতিমধ্যে কাজ শুরু দিয়েছে। এ বছর বরিশাল বিভাগে পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। এ চাহিদা স্থানীয়ভাবে পূরণ হয়ে পশু ঊদ্বৃত্তও থাকবে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুচিকান্ত হাজং জানিয়েছেন, হাটগুলো পশু, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা এবং মহানগর পুলিশ। প্রতিটি হাটেই পুলিশের কট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল