পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে এ নিয়ে চতুর্থ জয় পেল বাংলাদেশ। সবগুলোই জিতল রান তাড়া করে। গতকালের ম্যাচটি আবার রেকর্ড গড়ে জিতল টাইগাররা। এবার রেকর্ড গড়লো সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে। ২০১৫ সালে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল ২২ বল আগে। এবারও জিতল ৭ উইকেটে। তবে বলের সংখ্যায় এবারের জয়টি রেকর্ড। জিতল ২৭ বল হাতে রেখে। এটাই এখন পর্যন্ত সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা যে ৪টি ম্যাচ জিতেছে, সবগুলোই রান তাড়া করে। ২০২৩ সালে হ্যাংঝু এশিয়ান গেমসে একটি এবং বাকি ৩টি মিরপুরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম জিতেছিল ২০১৫ সালে। এক ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি টাইগাররা জিতেছিল মিরপুরে। ২২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়টি এতদিন ছিল সবচেয়ে বড়। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে দ্বিতীয় জয়টি ছিল ৫ উইকেটের। গতকালের জয় ৭ উইকেটে, ২৭ বল আগে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতল লিটন বাহিনী। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই জয়ের পর এবার হারাল পাকিস্তানকে। ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটি শুধু রান তাড়া করেই জেতেনি, সবচেয়ে কম রানে অলআউট করার রেকর্ডও গড়েছে। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন। বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজ ৪ নম্বরে বোলিংয়ে নেমে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন। ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ৬ রান। যা টাইগার বোলারদের টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানের স্পেল। তার স্পেল ৪-০-৬-০। ২৪ বলের স্পেলে ডট নেন ১৮। আগের রেকর্ড ছিল রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজের। তিন বোলার ৪ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৭। টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানের স্পেল অবশ্য নিউজিল্যান্ডের লুকি ফার্গুসনের, ৪-৪-০-৩। মুস্তাফিজের রেকর্ড গড়া দিনে পাকিস্তান ১১০ রানে অলআউট হয়। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৩ টি-২০ ম্যাচে সবচেয়ে কম রানে অলআউটের রেকর্ড। এর আগে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন রানের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১২৯।
আগের ৯ ম্যাচে টানা টস হেরেছিলেন লিটন দাস। এক পরিবর্তন নিয়ে গতকাল খেলতে নেমে ১০ নম্বর ম্যাচে টস জিতেন টাইগার অধিনায়ক। মিরপুরের ধীরলয়ের উইকেটের সুবিধা আদায়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামেন টাইগার অধিনায়ক। এক ম্যাচ পর খেলতে নামা তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন বাঁ-হাতি ওপেনার ফখর জামান। তাসকিন ৩ উইকেট নেন ২২ রানের খরচে। ১১১ রানের টার্গেটে ২.২ ওভারে ৭ রানে তানজিদ তামিম ও অধিনায়ক লিটনকে হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পরে টাইগাররা। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচসেরা পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয় ৭৩ রান যোগ করেন ৬১ বলে। হৃদয় ৩৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হলেও পারভেজ অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। ৩৯ বলের ইনিংসটিতে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন পারভেজ। অবশ্য উইনিং শটটি মারেন জাকের আলি অনীক বাউন্ডারিতে।