বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রচুর ঢাকাই ছবি বলিউডের ছবির নকল অথবা অনুকরণে নির্মিত হয়েছে। হলিউড বা অন্য দেশ থেকেও নকল করে এখানে ছবি নির্মাণ হয়। আজ দেখব কোন ঢাকাই ছবি বলিউডের কোন ছবির নকল। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ
ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতে প্রখ্যাত নির্মাতারা মৌলিক গল্পের অসংখ্য কালজয়ী ছবি নির্মাণ করলেও কতিপয় নির্মাতা আবার ভিনদেশি ছবির কাট টু কাট নকল বা টুকলিফাই করে নিজেদের নিজেরাই মেধাহীন বলে প্রমাণ করেছেন। সত্তর দশক থেকে এ দেশে নির্মিত বলিউডের প্রচুর নকল ছবি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি হলো- ‘রাম আওর শাম’ থেকে ‘চাবুক’, ‘এক ফুল দো মালি’ থেকে ‘উপহার’, ‘আরাধনা’ থেকে ‘ঢেউয়ের পরে ঢেউ’, ‘রোটি’ থেকে ‘এক মুঠো ভাত’, ‘শোলে’ থেকে ‘দোস্ত দুশমন’, ‘ডন’ থেকে ‘প্রতিজ্ঞা’ ও ‘মুখোশ’, ‘শক্তি’ থেকে ‘নীতিবান’, ‘শারাবি’ থেকে ‘বাপ বেটার লড়াই’, ‘দিওয়ার’ থেকে ‘সেতু’, ‘এক আজনবি’ থেকে ‘ক্যাপ্টেন মারুফ’, ‘বাগবান’ থেকে ‘আমাদের সন্তান’, ‘খাকি’ থেকে ‘জানোয়ার’, ‘ফ্যামিলি’ থেকে ‘দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’, ‘গ্রেফতার’ থেকে ‘লালু মাস্তান’, ‘আখেরি রাস্তা’ থেকে ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘মেরি জাং’ থেকে ‘সত্য মিথ্যার লড়াই’, ‘লাডলা’ থেকে ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘বেটা’ থেকে ‘সুন্দরী বধূ’, ‘নায়ক’ থেকে ‘মিনিস্টার’, ‘হাম আপকে দিল র্যাহতে হ্যায়’ থেকে ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’, ‘হামারা দিল আপকে পাস হ্যায়’ থেকে ‘নয়ন ভরা জল’, ‘রিস্তে’ থেকে ‘সন্ত্রাসী মুন্না’ ও ‘মিলন’, ‘ভিরাসাত’ থেকে ‘চেয়ারম্যান’, ‘বেনাম বাদশাহ’ থেকে ‘ক্ষমা’, ‘তাল’ থেকে ‘কঠিন বাস্তব’, ‘সাজান’ থেকে ‘স্বজন’ (রিমেক), ‘জাং’ থেকে ‘কঠিন সীমার’, ‘ভাস্তব’ থেকে ‘বর্তমান’, ‘খলনায়ক’ থেকে ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘হাম কিসিসি কাম নেহি’ থেকে শাকিবের ‘রংবাজ’, ‘জিদ্দি’ থেকে ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘জিত’ থেকে ‘কালপুরুষ’, ‘দামিনী’ থেকে ‘সত্যের বিজয়’, ‘চালবাজ’ থেকে ‘বস্তির মেয়ে’, ‘অর্জুন পন্ডিত’ থেকে ‘পাঞ্জা’, ‘ঘাতক’ থেকে ‘বাংলার সৈনিক’, ‘ইন্ডিয়ান’ থেকে ‘মায়ের সম্মান’, ‘স্বর্গ’ থেকে ‘স্নেহের প্রতিদান’ ও ‘কে আপন কে পর’, ‘রাজাবাবু’ থেকে ‘আমি তোমারি’, ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ থেকে ‘কুলি’, ‘আঁখে’ থেকে ‘মরণ কামড়’, ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ থেকে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (রিমেক), ‘দিল’ থেকে ‘আমার ঘর আমার বেহেশত (রিমেক)’, ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ থেকে ‘লঙ্কাকাণ্ড’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ থেকে ‘তোমার আমার প্রেম’, ‘বাজি’ থেকে ‘খবরদার’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ থেকে ‘হৃদয়ের আয়না’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ থেকে ‘মন মানে না’, ‘বন্ধন’ থেকে ‘ভালোবাসার শত্রু’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া’ থেকে ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’, ‘হাম দিল দে চুকে সানম’ থেকে ‘এই মন চায় যে’, ‘হার দিল জো পেয়ার করে গা’ থেকে ‘প্রেমে পড়েছি’, ‘সানাম বেওয়াফা’ থেকে ‘দেনমোহর’, ‘দিওয়ানা’ থেকে ‘বিয়ের ফুল’, ‘আনজাম’ থেকে ‘প্রিয়শত্রু’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’
থেকে ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ থেকে ‘জীবনের গল্প’, ‘ভাই’ থেকে ‘মুন্না মাস্তান’ থেকে ‘মোস্তফা ভাই’, ‘মোহরা’ থেকে ‘গুপ্তঘাতক’, ‘ধাড়কান’ থেকে ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘আরজু’ থেকে ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘জানোয়ার’ থেকে ‘মুখোমুখি’, ‘রক্ষক’ থেকে ‘কালো চশমা’, ‘সোলজার’ থেকে ‘জামিন নাই’, ‘হামরাজ’ থেকে ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’, ‘গার্দিশ’ থেকে ‘বাবার আদেশ’, ‘অগ্নিসাক্ষী’ থেকে ‘রাঙা বউ’ ও ‘সাগরিকা’, ‘গুলাম ই মুস্তফা’ থেকে ‘আব্বাজান’, ‘দিলওয়ালে’ থেকে ‘স্বপ্নের বাসর’, ও ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’, ‘ইতিহাস’ থেকে ‘পাহারাদার’, ‘শূল’ থেকে ‘তের গুন্ডা এক পান্ডা’, ‘রোড’ থেকে ‘প্রেমিকা ছিনতাই’ ও ‘চল পালাই’, ‘শাদি নাম্বার ওয়ান’ থেকে ‘তোমাকেই খুঁজছি’, ‘নদীয়া কি পার’ থেকে ‘আঁখি মিলন’, ‘ঘর’ থেকে ‘স্ত্রী’, ‘আও পেয়ার করে’ ও ‘উধার কি জিন্দেগি’ থেকে ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘মেরি ইয়ার কি শাদি হ্যায়’ থেকে ‘শুভ বিবাহ’ এবং গত ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব অভিনীত ‘তাণ্ডব’ ছবিটি বলিউডের শাহরুখ খান অভিনীত ‘জওয়ান’ ছবির অনুকরণে নির্মিত হয়েছে। এমন আরও প্রচুর নকল ছবিতে ভরপুর আমাদের ঢাকাই ছবির জগৎ।