আর মাত্র একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটজুড়ে উপচে পড়া ভিড় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। উঠেছে পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আকৃতির গরু ও ছাগল। পশু দেখে পছন্দ হলেই শুরু হচ্ছে দরদামের আলোচনা। চলছে বেচাকেনার ধুম। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা সহনীয় বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর প্রতি চাহিদা বেশি, আর এই সাইজের গরুই বিক্রি হচ্ছে সর্বাধিক। তবে বড় গরুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জানা গেছে, উপজেলার ৪৩৬টি গ্রাম মিলিয়ে এবার প্রায় ৯ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৫ হাজার ৬০৫টি। অন্যদিকে নিবন্ধিত খামারিসহ দেড় শতাধিক খামারি বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন প্রায় ৫ হাজার ৮৯৪টি গরু ও ছাগল। এছাড়া বহু কৃষক বাড়ি থেকে লালন-পালন করা পশু সরাসরি বিক্রি করছেন। ঈদ উপলক্ষে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৬টি পশুর হাট ইজারা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাটটি হচ্ছে বিশ্বনাথ পুরানবাজার পশুর হাট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব হাটে ছোট, মাঝারি ও বড় আকৃতির অসংখ্য গরু তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাগল। কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত পশুটি খুঁজে পেতে। হাটে পশুর দামও ক্রেতাদের আয়ত্তে রয়েছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
হাটে একেকটি ছোট গরু ৬৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা, আর মাঝারি আকারের ষাঁড় বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা জানান, ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বাজেটের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এসব গরু দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বড় গরুর সংখ্যা যেমন কম, তেমনি ক্রেতাও কম। এবার ভারতীয় গরুর আমদানি সীমিত থাকায় দেশি গরুর ভালো দাম পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বনাথ পুরানবাজার পশুর হাটের ইজারাদার মোনায়েম খান বলেন, ‘এ বছর হাট বেশ জমজমাট। কোরবানির পশু বিক্রি ভালো হচ্ছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুস শহীদ বলেন, ‘এ বছর ৫ হাজারের বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আমাদের টিম হাটে হাটে কাজ করছে। কোরবানি দাতাদের প্রতি আহ্বান—সকলেই যেন সুস্থ ও মানসম্পন্ন গবাদি পশু কোরবানি দেন।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ