গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দশমিক ৫ কিংবা ১ শতাংশও যেসব দল ভোট পায় তাদেরও আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নাম প্রস্তাবে মতামত দেওয়ার জায়গা থাকা দরকার।
রবিবার রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৫তম দিনের আলোচনা বিরতিকালে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাছাই নিয়ে কথা হয়েছে। অনেকের প্রস্তাব এসেছে, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বাছাই কমিটি করতে। আমরা বলেছি, বাছাই কমিটি যদি তিন দলের মধ্যেই অর্থাৎ সরকারি দল, প্রধান বিরোধী দল এবং বৃহত্তম তৃতীয় দলের মধ্যে রাখা হয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব দলই যাতে নাম প্রস্তাব করতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সদস্য নয় কিংবা সংসদ সদস্য যারা আছেন তারাই নয়। দেখা যায়, একটা দল অনেক ভোট পেতে পারে, কিন্তু তাদের কোনো এমপি নেই। আমরা এটা অতীতে দেখেছি। ন্যূনতম একটা ভোটের ফ্যাশন তৈরি করা দরকার। দশমিক ৫ অথবা ১ শতাংশ ভোট পায় তাদের মতামত দেওয়ার জায়গা দরকার।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, দেখা যায় অনেক দলের কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অনেকেই পার্লামেন্টে যাবে। কিন্তু আবার অনেক দলের হয়ত কোনো সদস্য পার্লামেন্টে যেতে পারে না। কিন্তু তারা সামগ্রিকভাবে জনগণের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতিনিধিত্ব করে ভোটের মাধ্যমে। সেই জায়গা থেকেই প্রধান উপদেষ্টা নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বটা সবার যেন থাকে। র্যাঙ্কড চয়েস ইত্যাদি পদ্ধতির মাধ্যমে হতে পারে। সেটি অধিকতর গণতান্ত্রিক হয়।
তিনি বলেন, শেষ অপশন হিসেবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষেত্রে যেটা ছিল, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এখন হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে প্রস্তাব করা হবে। যদি টাই হয়ে যায়, তারপর পরবর্তী ধাপে এবং সেক্ষেত্রেও র্যাঙ্কড চয়েস করার প্রস্তাব তোলা হয়েছে। আশা করি ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেটি আমরা সবাই এগিয়ে নেব।
বিডি প্রতিদিন/কেএ