গরুর হাটে মানুষের জন্য থাকা ও খাবার হোটেল অহরহই আছে। কিন্তু এবার চুয়াডাঙ্গায় গরুর জন্য আবাসিক হোটেলের সূচনা হয়েছে। হাট থেকে কেনা গরুর বিশ্রাম, গোসল ও খাবারের জন্য এ হোটেল করেছেন জেলার ডুগডুগি হাট এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম। আরিফুলের গবাদিপশুর এ হোটেল ক্রেতা-ব্যাপারীদের মধ্যে উৎসাহের জন্ম দিয়েছে।
হাট সংশ্লিষ্টরা বলেন, কোরবানির আগের ৪/৫টি হাটে দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাটে অন্তত পাঁচ হাজার করে গরুর আমদানি হয়। হাটে আসা এসব গরুর জন্য এতোদিন ছিলো না নির্দিষ্ট কোন বিশ্রাম, গোসল বা খাবারের স্থান। যত্রতত্রই গরুরগুলোকে গাদাগাদি করে রাখা হতো। নোংরা স্থানেই দেয়া হতো খাবার। গবাদি পশুর এ অসুবিধার কথা চিন্তা করে ডুগডুগি গ্রামের গরু খামারি আরিফুল গড়ে তুলেছেন গবাদি পশুর হোটেল কাম অয়্যারহাউজ।
আরিফুল বলেন, কোরবানির সময় সারাদেশের ব্যাপারিরা চুয়াডাঙ্গায় আসেন গরু-ছাগল কিনতে। অনেক ব্যাপারীই এক হাটে চাহিদা মতো গরু কিনতে পারেন না। ডুগডুগির হাটে যে কয়টা গরু কেনা হয় সেগুলো রাখা নিয়েও ঝামেলাই পড়তে হয় তাদের। আবার অনেকের বাড়িতে কোরবানির গরু রাখার স্থান থাকে না। তারাও অসুবিধায় পড়েন। এসব চিন্তা থেকে তিনি গবাদি পশুর হোটেল কাম অয়্যারহাউজ করেছেন। এতে আরিফুলকে সহযোগিতা করেছে উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন। ওয়েভের আরএমটিপি প্রকল্পের অধীনে গবাদি পশুর হোটেল করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
আরিফুল বলেন, একটি গরু একদিনের জন্য হোটেলে রাখলে তার গোসল-খাওয়া থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়। সার্বিক নিরাপত্তাও দেয়া হয়। এজন্য গরু প্রতি খরচ হয় দিনে ৫০০ টাকা করে।
চট্টগ্রামের ব্যাপারী আব্দুল জব্বার বলেন, দেশের সব গবাদি পশুর হাটেই মানুষের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গাতেই প্রথম গবাদি পশুর জন্য হোটেল কাম অয়্যারহাউজ করা হয়েছে। যেটি দেখে দেশের অন্য এলাকাতেও উদ্যোক্তারা অনুপ্রাণিত হবেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল