খাদ্যের গুণগত মান রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্ভিদজাত উপাদান এবং প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং উন্নয়নের লক্ষ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের অর্থায়নে এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. নাহিদুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশবান্ধব স্মার্ট প্যাকেজিং প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান বিনিময় এবং শিল্পক্ষেত্রে এর বাস্তব প্রয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করা। এতে খাদ্যের গুণগত মান ঠিক আছে কি না তা সনাক্ত করা যাবে স্বয়ংক্রিয় কালার সিগন্যালের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন হিট প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গুলজারুল আজিজ এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. এমদাদুল হক। পরে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মো. নাহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং প্রযুক্তি উন্নয়নে সুযোগ তৈরি হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা এখন শুধু পুষ্টি নয়, পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গেও সম্পর্কিত। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই সমাধান বের করাই এখন সময়ের দাবি। এই স্মার্ট প্যাকেজিং প্রযুক্তি ভবিষ্যতের খাদ্য সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’
তিনি গবেষণার ফলাফল পেটেন্ট করার পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে এটি সহজলভ্য ও নিরাপদ রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক