সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে ইনিংস জয়ের পথে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশের লিড ৩০১ রানের। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। এখনও তারা পিছিয়ে ২১৫ রানে।
অর্থাৎ সফরকারী আইরিশরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বাংলাদেশ এই টেস্টে ইনিংস জয়ের পথে আছে।
এর আগে দ্বিতীয় ইংনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৬১ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। চতুর্থ ওভারে কেড কারমাইকেল (৫) নাহিদ রানার বলে বোল্ড হন।
১৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই জুটি পঞ্চাশের আগেই ভেঙে যায়। ৪৭ রান যোগ করে তারা বিচ্ছিন্ন হন। শান্তর থ্রোয়ে ৪৩ রানে থামেন স্টার্লিং। তার ৫৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার।
এরপর আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। হ্যারি টেক্টরকে ১৮ রানে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল ইসলাম। কুর্টিস ক্যাম্ফার (৫) ও লরকান টাকার (৯) টানা দুই ওভারে হাসান মুরাদের শিকার।
২৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর খেলার সময় বাড়ালেও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও ম্যাথু হামফ্রেস বাকি সময় ক্রিজে দাঁত কামড়ে পড়ে ছিলেন। ম্যাকব্রাইন ১৪ বলে ৪ রানে অপরাজিত, ৭ বল খেলেও রানের খাতা খোলেননি ‘নাইটওয়াচম্যান’ হামফ্রেস।
এর আগে ১৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যা টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় দলীয় সর্বোচ্চ, একই সঙ্গে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড করেছিল ২৮৬ রান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত। শুরুতে মাহমুদুল হাসান জয়ের ১৭১, সাদমান ইসলামের ৮০ রানের পর মুমিনুল হক যোগ করেন ৮২ রান। এরপর দুর্দান্ত ব্যাট করেন শান্ত। ১১৪ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি শান্তর অষ্টম। তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪ চারে। এরপর আর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। অ্যান্ডি ম্যাকবার্নির এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিলিয়ে দিতে হয় উইকেট।
এর মধ্যে মুশফিকুর রহিম অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫২ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে। শান্তর মতো ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালান লিটনও। ৬৬ বলে ৬০ রান করে তিনি হ্যামফ্রিসের বলে হ্যারি টেক্টরের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন।
শেষদিকে অবশ্য বাকিরা লড়তে পারেননি বেশিক্ষণ। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৭, হাসান মুরাদ ১৬ রানে বিদায় নেন। হাসান মাহমুদ ১৩ ও নাহিদ রানা ৪ রানে অপরাজিত থেকে লিড তিনশ ছাড়ান।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ফাইফার পান হ্যামফ্রিস। ১৭০ রান খরচায় তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট। দু’টি উইকেট পান ব্যারি ম্যাককার্থি। একটি উইকেট নেন ম্যাকবার্নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত