ডেড শার্ক
মূল্য : ৮-১২ মিলিয়ন ডলার
বিশ্বের অনেক দামি জিনিসের কার্যকর বা আয়-উৎপাদনকারী ব্যবহার আছে। কিন্তু কিছু জিনিসের দামি হওয়ার কারণ অনেকের কাছেই অযৌক্তিক মনে হতেই পারে। শিল্পী ড্যামিয়েন হার্স্ট ১৯৯১ সালে তৈরি করেন ‘দ্য ফিজিক্যাল ইমপসিবিলিটি অব ডেথ ইন দ্য মাইন্ড অব সামওয়ান লিভিং’, যা সংক্ষেপে দ্য শার্ক নামে পরিচিত। এটি একটি টাইগার শার্ক, যেটি ফরমালডিহাইডে সংরক্ষিত এবং কাচের বাক্সে রাখা হয়েছে। চার্লস সাচ্চির অর্ডারে এই বিরল শিল্পকর্মটি তৈরি করা হয়। পরে এটি বিলিয়নিয়ার স্টিভেন কোহেনের কাছে ৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করা হয়। তবে ডন থম্পসন-এর লেখা ‘The $12 Million Stuffed Shark: The Curious Economics of Contemporary Art’ বই অনুযায়ী, ২০০৫ সালে এক ব্যক্তিগত নিলামে এটি ১২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
অ্যান্টিলিয়া
মূল্য : ২ বিলিয়ন ডলার
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাসভবন হিসেবে অ্যান্টিলিয়ার নাম সবার আগে আসে। এটি কোনো সাধারণ বাড়ি নয়, বরং ২৭ তলার আকাশচুম্বী প্রাসাদ। ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন বাড়িটি আধুনিক স্থাপত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর নামকরণ হয়েছে একটি পৌরাণিক দ্বীপ থেকে। বাড়ির বিলাসবহুল সুবিধা যে কাউকে অবাক করবে। বাড়িতে আছে তিনটি হেলিপ্যাড, ৫০ আসনের সিনেমা হল, বিশাল বলরুম, একাধিক সুইমিং পুল, একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নয়টি লিফট এবং একটি ‘স্নো রুম’ যেখানে কৃত্রিম বরফ তৈরি হয়। প্রায় ৬০০ জন কর্মচারী সার্বক্ষণিক এর দায়িত্বে আছেন, যা অনেক হোটেলের চেয়েও বেশি। অ্যান্টিলিয়া এমনভাবে নকশা করা, যেন এটি ৮ মাত্রার ভূমিকম্পও সহ্য করতে পারে। এর প্রতিটি কোণে রয়েছে প্রযুক্তির ছোঁয়া এবং স্থাপত্যের শিল্প।
পল সেজানের দ্য কার্ড প্লেয়ার্স
মূল্য : ২৫০ মিলিয়ন ডলার
ফরাসি পোস্ট-ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পী পল সেজানের এই মাস্টারপিসটি তাঁর আঁকা পাঁচটি একই ধরনের সিরিজের অংশ। এটি একসময় শিল্প জগতের সবচেয়ে দামি চিত্রকর্ম হিসেবে পরিচিত ছিল। এতে দুজন লোককে কার্ড খেলতে দেখা যায়। তাদের গভীর মনোযোগ এবং নীরবতা ক্যানভাসে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ২০১১ সালে চিত্রকর্মটি কাতারের রাজপরিবার ২৫০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। এটি সেজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি। কারণ এটি মানব সম্পর্ক এবং নিঃশব্দ অভিব্যক্তির এক গভীর প্রতিফলন তুলে ধরে।
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সালভাতোর মুন্ডি
মূল্য : ৪৫০ মিলিয়ন ডলার
বিশ্বের সবচেয়ে দামি চিত্রকর্মের তালিকায় সবার ওপরে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সালভাতোর মুন্ডি। এর অর্থ- ‘বিশ্বের ত্রাণকর্তা’। প্রায় ৬০০ বছর আগে আঁকা এই চিত্রে যিশুখ্রিস্টকে দেখা যায়, যিনি স্ফটিক বল ধরে আছেন। একসময় একে ভিঞ্চির আসল চিত্রকর্ম হিসেবে ধরা হতো না। কারণ এর অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। কিন্তু ব্যাপক সংস্কার ও গবেষণার পর এটি ভিঞ্চির কাজ হিসেবে প্রমাণিত হয়। ২০১৭ সালে নিউইয়র্কের ক্রিস্টিস নিলামে ৪৫০.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। গুঞ্জন আছে, সৌদি যুবরাজ এই চিত্রকর্মটি কিনেছেন।
দ্য গ্রাফ : হ্যালুসিনেশন ওয়াচ
মূল্য : ৫৫ মিলিয়ন ডলার
এটি কেবল একটি ঘড়ি নয়, এটি অলংকারের এক মাস্টারপিস। তাই তো বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ির তালিকায় সবার ওপরে- গ্রাফ ডায়মন্ডস-এর তৈরি ‘হ্যালুসিনেশন’। ২০১৪ সালে এটি উন্মোচিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ঘড়িচি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ির খেতাব অর্জন করে। এর মূল্য ওঠে ৫৫ মিলিয়ন ডলার এবং এটি ১১০ ক্যারেটের বেশি বিরল রঙিন হীরা দিয়ে আবৃত। ঘড়িটি তৈরি করতে একদল দক্ষ রত্নবিজ্ঞানী ও কারিগর হাজার হাজার ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। এর মূল আকর্ষণ- এতে ব্যবহৃত ১১০ ক্যারেটেরও বেশি দুর্লভ এবং রঙিন হীরা।
১৯৬২ ফেরারি জিটিও
মূল্য : ৪৮.৪ মিলিয়ন ডলার
বিশ্বের সবচেয়ে দামি জিনিসের তালিকায় কিছু গাড়ি থাকা অস্বাভাবিক নয়। ২০১৮ সালে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়- ১৯৬২ সালের ফেরারি জিটিও। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে ফেরারি ২৫০ জিটিও মডেলের মাত্র ৩৬টি ইউনিট তৈরি করা হয়েছিল। এই সীমিত উৎপাদনই এর উচ্চ মূল্যের প্রধান কারণ। একে শুধু একটি গাড়ি বলাটা ভুল হবে, এটি অটোমোবাইল জগতের ‘হোলি গ্রেইল’ বা পবিত্র গ্রেইল হিসেবে পরিচিত। এই গাড়িটির ডিজাইন করেছিলেন সার্গিও স্ক্যাগলিয়েত্তি। এর মসৃণ, এরোডাইনামিক এবং অত্যন্ত সুন্দর বডি রেসিং ট্র্যাকের জন্য নিখুঁত ছিল। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে উচ্চ গতির বাতাসেও গাড়িটি সর্বোচ্চ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে। এর লম্বা, মসৃণ বনেট এবং নিচু অবস্থান একে রেসিংয়ের জন্য আদর্শ করে তুলেছিল।
জেফ বেজোসের বেভারলি হিলসের বাড়ি
মূল্য : ১৭৫ মিলিয়ন ডলার
২০২০ সালে, ধনকুবের জেফ বেজোস লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলসে অবস্থিত বিখ্যাত ওয়ার্নার এস্টেট কিনে নেন। বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব ডেভিড গেফেন-এর কাছ থেকে বেজোস নান্দনিক এই এস্টেটটি কিনেছিলেন। এই লেনদেন ছিল সে সময় ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি আবাসিক রিয়েল এস্টেট চুক্তি, যার মূল্য ছিল ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ১৫০০ কোটি টাকার বেশি)। এই সুবিশাল এস্টেটটি প্রায় ৯ একর জমির ওপর বিস্তৃত, যা বেভারলি হিলসের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিরল। এতে একটি বিশাল ম্যানশন, একাধিক গেস্ট হাউস, টেনিস কোর্ট এবং সুন্দর বাগান রয়েছে। ১৯৩৭ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রধান জ্যাক ওয়ার্নার বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। এটি হলিউডের ‘গোল্ডেন এজ’-এর স্থাপত্যের এক অন্যতম উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
ঐতিহাসিক প্রাসাদ : ভিলা লিওপোল্ডা
মূল্য : ৫০৬ মিলিয়ন ডলার
ফরাসি রিভেরার ক্যাসিস অঞ্চলের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ভিলা লিওপোল্ডা শুধু দামিই নয়, এর একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসও রয়েছে। ১৯০২ সালে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড এটি তৈরি করেছিলেন। এরপর এটি বিভিন্ন ধনী পরিবারের হাতে এসেছে। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি সামরিক হাসপাতাল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছিল। ঐতিহাসিক প্রাসাদটি ২০ একর জমির ওপর বিস্তৃত। এর চারপাশে রয়েছে বাগান- জলপাই, লেবু ও কমলালেবুর গাছ। যেখানে কাজ করেন ৫০ জনেরও বেশি মালি। প্রাসাদের ভিতরে আছে ১৯টি বেড, ১৪টি বাথ, একটি বাণিজ্যিক গ্রিনহাউস, হেলিপ্যাড এবং বিশাল সুইমিং পুল। বর্তমানে এর মালিকানা রাশিয়ার বিলিয়নিয়ার মিখাইল প্রখোরভের হাতে।
এক্সিলিপস ইয়ট
মূল্য : ১.৫ বিলিয়ন ডলার
এর মালিক রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। ৫৩৩ ফুট লম্বা ইয়টটি একসময় বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ব্যক্তিগত ইয়ট ছিল। এক্সিলিপস-এর বিশেষত্ব কেবল তার আকারে সীমাবদ্ধ নয়, এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অসাধারণ। এতে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বুলেটপ্রুফ জানালা। এমনকি পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা প্রতিরোধে রয়েছে একটি বিশেষ লেজার সিস্টেম। এর বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে- দুটি হেলিপ্যাড, তিনটি লঞ্চ বোট, একটি মিনি-সাবমেরিন, একাধিক সুইমিং পুল, নাইট ক্লাব এবং বিশাল ড্যান্স ফ্লোর। এর অভ্যন্তরীণ নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যেন একটি বিলাসবহুল হোটেলকেও হার মানায়।
CarInsurance.com ডোমেইন নাম
মূল্য : ৪৯.৭ মিলিয়ন ডলার
গাড়ির বিমা এমনিতেই একটি বিশাল ব্যবসা, আর এর সঠিক ডোমেইন নাম পাওয়া কখনো কখনো বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। CarInsurance.com নামের ডোমেইন এ যাবৎকাল পর্যন্ত সবচেয়ে দামি ডোমেইন-এর খেতাব অর্জন করে। এই ডোমেইনটি প্রায় ৪৯.৭ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়। এটি ২০১০ সালে কিনেছিল কুইনস্ট্রিট কোম্পানি। তা ছাড়া সবচেয়ে দামি ডোমেইন নামের তালিকায় পরবর্তী স্থানে রয়েছে Insurance.com (৩৫.৬ মিলিয়ন ডলার) এবং VacationRentals.com (৩৫ মিলিয়ন ডলার)।
দ্য হোপ ডায়মন্ড
মূল্য : ২৫০ মিলিয়ন ডলার
পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত এবং রহস্যময় গহনাগুলোর একটি হোপ ডায়মন্ড। ৪৫.৫২ ক্যারেটের এই নীল হীরাটি তার সৌন্দর্যের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকা অভিশপ্ত গল্পের জন্যও পরিচিত। এর ইতিহাস শুরু হয়েছিল ভারতের গোলকোন্ডা খনি থেকে। ১৭ শতকে হীরাটি ফরাসি বণিক জ্যাঁ-ব্যাপটিস্ট ট্যাভার্নিয়ারের হাতে আসে, যিনি এটি রাজা চতুর্দশ লুইয়ের কাছে বিক্রি করেন। তখন নাম হয় ‘ফরাসি ব্লু’। ফরাসি বিপ্লবের সময় এটি চুরি হয়ে যায়। ১৮৩৯ সালে এটি আবারও আবিষ্কৃত হয়, তখন এটি লন্ডনের হোপ পরিবারের হাতে আসে। এরপর থেকেই এটি হোপ ডায়মন্ড। অনেকের মতে, হীরাটি অভিশপ্ত। যারা এর মালিক হয়েছেন, তাদের জীবনে দুর্ভাগ্য নেমে এসেছে- রাজপরিবারের পতন, খুন এবং আত্মহত্যা। এর রহস্যময় ইতিহাস একে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
দ্য পিঙ্ক স্টার
মূল্য : ৭১.২ মিলিয়ন ডলার
গোলাপি হীরা এমনিতেই বিরল। আর যদি তা হয় বিশাল এবং নিখুঁত; তাহলে তার মূল্য আকাশছোঁয়া হবে- যেমনটি হয়েছে দ্য পিঙ্ক স্টার হীরার ক্ষেত্রে। ৫৯.৬০ ক্যারেটের হীরাটি এখন পর্যন্ত নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি হীরাগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯৯ সালে হীরাটি আফ্রিকার একটি খনিতে আবিষ্কার করা হয়েছিল এবং এটি কেটে পলিশ করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল। এর আকার, রং এবং স্বচ্ছতা এটিকে অনন্য করে তুলেছে। ২০১৭ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত সড়ঃযবনু’ং-এর নিলামে এটি ৭১.২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। অসাধারণ এই হীরাটির গোলাপি রং এবং ত্রুটিহীন স্বচ্ছতা এতটাই নিখুঁত যে, এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং মূল্যবান রত্নগুলোর মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়। তাই ‘দ্য পিঙ্ক স্টার’ কেবল একটি অলংকার নয়, এটি পৃথিবীর দুর্লভ রত্নগুলোর একটি।
ব্রিটিশ গায়ানা ১সি ম্যাজেন্টা
মূল্য : ৯.৫ মিলিয়ন ডলার
এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ডাকটিকিট। ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ গায়ানায় (বর্তমান গায়ানা) ডাকটিকিটের স্বল্পতার কারণে এটি জরুরি ভিত্তিতে ছাপানো হয়েছিল। সেই সময় ১ সেন্ট মূল্যের স্ট্যাম্পটি হাতে লেখা ছিল এবং এর ওপর পোস্টমাস্টারের স্বাক্ষর ছিল। যার একটি মাত্র কপি এখনো টিকে আছে। ২০১৬ সালে নিলামে এটি ৯.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়।
হিস্ট্রি সুপ্রিম ইয়ট
মূল্য : ৪.৮ বিলিয়ন ডলার
অত্যাধুনিক ইয়টটির মালিকানা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানা গেলেও গুঞ্জন রয়েছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ইয়টটির মালিক মালয়েশিয়ান ধনকুবের রবার্ট কুওক। সম্প্রতি এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ইয়টের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। ব্রিটিশ ডিজাইনার স্টুয়ার্ট হিউজ এটির ডিজাইন করেছেন। এটি আসলে কোনো সাধারণ ইয়ট নয়, এটি একটি চলন্ত সোনার খনি! এর নির্মাণে সময় লেগেছিল তিন বছর এবং পুরোটাই খাঁটি সোনা ও প্ল্যাটিনাম দিয়ে আবৃত। এর দামের মূল কারণ হলো- এতে ব্যবহৃত বিরল ও মূল্যবান উপকরণ। এটি প্রায় ১০০ ফুট লম্বা এবং এর কাঠামো তৈরি করতে এক লাখ কেজির বেশি সোনা ও প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়েছে। এর বেস, ডেক, রেলিং, এমনকি খাবারের জায়গাও মূল্যবান ধাতু দিয়ে সাজানো। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো- একটি মাস্টার বেডরুম; যেখানে রয়েছে ডাইনোসরের সত্যিকারের হাড় দিয়ে তৈরি একটি মূর্তি এবং একটি দেয়াল, যা উল্কাপিণ্ডের পাথর দিয়ে সাজানো। ইয়টটিকে সম্পদ ও বিলাসিতার চূড়ান্ত প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেস কুইটজ স্ট্যাম্প
মূল্য : ২.৫ মিলিয়ন ডলার
পাশের ছবির দ্বিতীয় স্ট্যাম্পটি ১৮৭০ সালে মুদ্রিত বিরল স্ট্যাম্প, যা ভুলবশত ৩ সেন্টের পরিবর্তে ১ সেন্ট মূল্যমানের ছিল। এটি মেক্সিকোর একটি স্ট্যাম্প, যা ভুলের কারণে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠেছে। বিখ্যাত এই স্ট্যাম্পটি প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছে।