ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলেছে। ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে একটি সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি কে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুই পক্ষের কয়েকশত লোক ঢাল, সড়কি, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়। সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে জাকু মাতুব্বর (৬০) নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। নিহত জাকু মাতুব্বর ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের মৃত আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে। সংঘর্ষে আহত দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন চিকিৎসা নিয়েছে।
নিহত জাকু মাতুব্বরের ভাতিজা বিপ্লব মাতুব্বর বলেন, খান গোষ্ঠির সালাউদ্দিন খান (২৮) চার-পাঁচ দিন আগে আলগী ইউনিয়নের নলিয়া গ্রাম থেকে একটি ভ্যান চুরি করে। ভ্যান মালিকসহ ঐ গ্রামের লোকজন আমাদের গ্রামের মুরুব্বিদের কাছে বিচার দেয়। রবিবার বিচার চলাকালে খান গোষ্ঠির লোকজন আমাদের মাতুব্বর গোষ্ঠির লোকজনের উপর আক্রমণ করে। এ সময় আমার চাচা জাকু মাতুব্বরকে ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে ও মারপিট করে। এতে আমার চাচার মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে খান গোষ্ঠির আহত লোকজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মো. তানসিভ জোবায়ের বলেন, ঐ ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ঐ গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ঐ গ্রামে কাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন