অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ডাকসু নির্বাচনকে ‘সাজানো ভোট’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া বলেছেন, এ ধরনের অনিয়মে ভরা নির্বাচনের কারণে জাতীয় সংসদ ভোটেও জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে পারবে না। সম্প্রতি একটি টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাপিয়া বলেন, “আলফালাহ প্রিন্টিং প্রেস থেকে যদি ব্যালট ছাপানো হয়, বিজি প্রেস ছাড়া, এই ব্যালট আপনি আস্থা রাখতে পারেন? কোনোটা নাম্বার আছে, কোনোটা নাম্বার নাই। ছবি ছাড়া ভোটার লিস্ট কিভাবে হয়? আপনার ভোট আমি দিয়ে আসলে কে দেখবে? তো এগুলোই হয়েছে এখানে। এই যে ইউনূস সরকারের প্রথম ভোট, এটা তো পরিকল্পিত ভোট, নির্দিষ্ট রেজাল্ট শিট বানানোর জন্য সাজানো একটি ঘটনা।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে আস্থা কীভাবে পাবেন? প্রথমেই তারা অনিয়ম করেছে, ভুল করেছে। তাদের পাতানো খেলায় দেশবাসী হতবিহ্বল। সবাই একটি সুস্থ নির্বাচন চায়। কিন্তু একটি ছাত্র সংগঠনের ১৪-২০ হাজার বা ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর ভোট নিরপেক্ষভাবে করতে পারে না যারা, তারা কোটি কোটি মানুষের জাতীয় নির্বাচন কীভাবে করবে? আমি আশাহত হলাম।”
জামায়াত-শিবির প্রসঙ্গে পাপিয়া অভিযোগ করেন, “এদের সংগঠনে টিকে থাকতে হলে সবকিছুর সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়। এরা কুমনবৃত্তি ছড়ায়, কু-প্রলোভন দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করে। বিপদের বন্ধু সেজে লেবাস ধরে এগোয়, কিন্তু উদ্দেশ্য সবার মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির ছড়িয়ে দেওয়া।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এরা হিন্দুদের ফরম ফিলাপ করছে, যেন মনে হয় হিন্দু সমাজে আস্থাশীল জায়গা পেয়েছে। কিন্তু এগুলো সব ফেক। আমার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মানুষ শুধু বেঁচে থাকার জন্য এই ফরম পূরণ করেছে। এরা বলে সৎ লোকের শাসন চাই, কোরআনের আইন চাই। কোমলমতি বাচ্চাদের প্রতারণা করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে। বিতর্ক, সংগীত—সব জায়গায় এরা ঢুকে পড়ছে। মানুষের চরিত্র, নীতি, নৈতিকতায় হাত দিচ্ছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক