ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বা ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর হামলার কোনও ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
তবে, মস্কোর বিরুদ্ধে কোনও ধরনের আগ্রাসন হলে তার ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ সমাবেশে দেওয়া এক বক্তব্যে ল্যাভরভ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি ক্রমেই সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠছে।
তিনি ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নিন্দা করলেও, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।
একই সঙ্গে তিনি পশ্চিম তীর দখলের যে পরিকল্পনা, তার তীব্র নিন্দা করেন।
ল্যাভরভ অভিযোগ করেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের প্রতিও আগ্রাসন চালাচ্ছে, যা গোটা অঞ্চলকে ‘বিস্ফোরণের মুখে’ ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, হামাস নির্মূলের মিশনকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েল কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে।
ইরান প্রসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো কূটনীতিকে নস্যাৎ করছে।
শুক্রবার রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে শেষ মুহূর্তে দেওয়া প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ অবৈধ।
নিষেধাজ্ঞাগুলো রবিবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ইউরোপের উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের হুমকি এখন ক্রমেই সাধারণ হয়ে উঠছে। যেখানে আমাদের ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বহুবার স্পষ্ট করেছেন, এসব উসকানি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাশিয়ার কখনওই এমন উদ্দেশ্য ছিল না, নেইও। তবে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের আগ্রাসন হলে তার চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ