বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে দলটির কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ করেছেন। তারা হলেন, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার ও সদ্য সাবেক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শিল্পপতি সারোয়ার আলমগীর। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলটির চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন। পাশাপাশি ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নিয়ে গঠিত বৃহত্তর সুন্নি জোট ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী দিতে পারে। তবে কারা হচ্ছেন প্রার্থী এখনো নাম জানা যায়নি।
সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী বলেন, দলের দুঃসময়ে আমি জীবনবাজি রেখে কাজ করেছি। একদিনের জন্যও রাজপথ ছাড়িনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দলের দুঃসময়ের কর্মী হিসেবে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। আমি দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদে যেতে পারলে একটি মানবিক ফটিকছড়ি গঠনে কাজ করব। যেখানে কোনো সন্ত্রাস-হানাহানি থাকবে না। ফটিকছড়িকে মডেল উপজেলায় পরিণত করব। কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী যারা আছেন তারা সবাই যোগ্য। কার কতটুকু অবদান কী করেছে দল ইতোমধ্যে অনুসন্ধান করেছে। দল যাকে মনোনয়ন দেয় তার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাব। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দল আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। আশা করছি এবারও সেই আস্থা রাখবে। সরোয়ার আলমগীর বলেন, দুঃসময়েসহ দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় ছিলাম ও আছি। দলের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস এসব বিচারে আমাকে সুযোগ দেবে দলের হাইকমান্ড। জামায়াত নেতা নুরুল আমিন বলেন, আমাদের সব সিদ্ধান্ত কেন্দ্র থেকে হয়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠে কাজ করছি। আশাকরি ইতিবাচক ফলাফল হবে। বাংলাদেশ নেজামে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা হুসাইন মুহাম্মদ শাহাজাহান ইসলামাবাদী বলেন, জনগণের প্রত্যাশা একটি সৎ, ন্যায়ের পথে অটল এবং ইসলামী মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ নেতৃত্ব। আমি সবার দোয়ায় মনোনয়ন পেলে সেই চেষ্টাই করব ইনশাল্লাহ।