ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সাপে কাটা ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন প্রমাণস্বরূপ বিষধর সাপও নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চারোল ইউনিয়নের মইনুল ইসলাম সাপটি নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। শনিবার দুপুরে উঠানে কাজ করার সময় তার পায়ে কামড় দেয় সাপটি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যান্টিভেনম দেন। এক দিনের চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা মইনুল ইসলাম বলেন, দুপুরে উঠানে কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ একটি সাপ এসে পায়ে কামড় দেয়। বিষের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত আমাকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। যেন ডাক্তাররা সহজে বুঝতে পারেন, কোন সাপ কামড়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাক্তার ফুয়াদ বলেন, কেবল মইনুল ইসলাম নন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই হাসপাতালে আরো পাচজন সাপে কাটার রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলার বাসিন্দা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে জেলাজুড়ে সাপের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।
চিকিৎসকদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই রোগীরা প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসা বা ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেন। এতে পরিস্থিতি খারাপ হয়। তবে এখন মানুষ ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে এবং সরাসরি হাসপাতালে ছুটে আসছে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল জানান, সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে যথেষ্ট অ্যান্টিভেনম মজুত আছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচজন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বর্ষা ও শরৎকালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা রোগীদের অনুরোধ করছি সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে আসতে। কোনো ধরনের ঝাড়ফুঁক বা বিলম্ব করলে বিষ শরীরে ছড়িয়ে জীবনহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন