ফুটবলে টিকে থাকা এবং ধারাবাহিকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ যেন ব্রাজিলের অভিজ্ঞ গোলকিপার ফ্যাবিও। বয়স যখন ৪৫ ছুঁইছুঁই, তখনও তিনি ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত খেলছেন, আর খেলতে খেলতেই ছুঁয়ে ফেললেন এক অবিশ্বাস্য রেকর্ড। শনিবার ব্রাজিল সেরি আ-তে ফোর্টালেজার বিপক্ষে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে মাঠে নামতেই তিনি ছুঁয়ে ফেলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পিটার শিল্টনের ২৮ বছরের পুরোনো বিশ্বরেকর্ড।
এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের এক হাজার ৩৯০তম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। ম্যাচটিতে ফ্লুমিনেন্স জিতেছিল ২-১ গোলে। ফ্যাবিওর পেশাদার ক্যারিয়ার এখন ২৮ বছরের। ফাবিও খেলেছেন উনিয়াও বান্দেইরান্তে (৩০), ভাস্কো দা গামা (১৫০), ক্রুজেইরো (৯৭৬) তে। ফ্লুমিনেন্সের হয়েও ২৩৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি।
আগামী মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) কোপা সুদআমেরিকানার শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আমেরিকা দে কালি-র বিপক্ষে খেলতে নামলে ফ্যাবিও শিল্টনের রেকর্ডকে পেছনে ফেলবেন, কারণ ফ্লুমিনেন্সের প্রথম একাদশে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।
পিটার শিল্টন নিজেই ২০২৩ সালে বলেছিলেন যে, ফাবিও তার রেকর্ডের দিকে এগিয়ে আসছেন এবং রেকর্ড ভাঙলে তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ফ্যাবিওকে অভিনন্দন জানাবেন। শিল্টনের ক্যারিয়ার ছিল ১৯৬৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। গিনেস এবং অন্যান্য পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট তার মোট ম্যাচ সংখ্যা ১,৩৯০ বলে উল্লেখ করেছে, তবে শিল্টন নিজে দাবি করেছেন তার খেলানো ম্যাচ ১,৩৮৭টি। তিনি ১৬টি অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ গিনেসের গণনায় অন্তর্ভুক্ত করতে অস্বীকার করেছিলেন এবং ১৩টি ম্যাচ যুক্ত করেছেন যা সাধারণত গণ্য হয় না।
ফ্যাবিও তার রেকর্ড ছোঁয়ার পর ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক গ্লোবো মিডিয়াকে বলেন,‘ঈশ্বর আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। আমার পরিবার, বন্ধুরা, সহকর্মীরা, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সবসময় একজন ভালো মানুষ হতে চাই এবং সতীর্থদের সাহায্য করাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য। আমি কৃতজ্ঞ তবে ঈশ্বর ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন,‘এই ম্যাচগুলো কখনোই সহজ ছিল না। আমরা সবসময় শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলি। আমাদের লক্ষ্য শিরোপা জয় এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
বিডি প্রতিদিন/নাজিম