ময়মনসিংহ বিভাগ হয়েছে ১০ বছর। অথচ দলটি ন্যাশনাল ক্রিকেটে খেলতে পারেনি এখনো। ২৫ অক্টোবর শুরু ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ বিভাগের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য বাদ পড়তে পারে দেড় দশক ধরে নিয়মিত খেলা ঢাকা মেট্রোপলিটন। গত আগস্টে বিসিবির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ময়মনসিংহকে ন্যাশনাল ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্তির। যদিও গতকাল শেষ হওয়া ন্যাশনাল টি-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ময়মনসিংহ ছিল না। ঢাকা মেট্রেপলিটন দলই খেলেছে। আট দলের ন্যাশনাল টি-২০ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে (এনসিএল) দাপুটে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একপেশে ফাইনালে খুলনাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার নাঈম হোসেন ও নাসির হোসেনের রংপুর। খুলনার ১৩৭ রান টপকে রংপুর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৮ বল হাতে রেখে। কোয়ালিফাইয়ারের মতো ফাইনালে সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন নাসির। কোয়ালিফাইয়ারে চট্টগ্রামকে হারাতে খেলেছিলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ফাইনালে খেলেন ৩১ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। এনসিএলে রংপুর টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গতবার দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটনকে হারিয়ে। ম্যাচসেরা নাসির ২০ হাজার টাকা ও একটি বাইসাইকেল পুরস্কার পান।
খুলনার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফাইনালের আগের দিন জানিয়েছিলেন, খুলনা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। দলটি অনেক দিন ধরে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না। এবার সেই খরা দূর করতে মরিয়া। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পরে খুলনা। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার ইমামুজ্জামানকে আউট করেন টি-২০ এশিয়া কাপ খেলা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার সৌম্য সরকারও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আবু হামিমের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ৮ রানে। এরপর অধিনায়ক মিঠুন একাই চেষ্টা করেন দলকে টেনে নিয়ে যেতে। তাকে লেট মিডল অর্ডারে সহায়তা করেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। মিঠুন সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। ৩২ বলের ইনিংসটিতে ছিল একটি চার ও তিনটি ছক্কা। মৃত্যুঞ্জয় ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ১৩ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায়। দুজনের দৃঢ়তায় ২০ ওভারে খুলনার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৩৬ রান। রংপুরের পক্ষে ১৫ রানের খরচে ২ উইকেট নেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
টার্গেট ১৩৭ রানের। ওভারপ্রতি ৬.৮১। ২০ ওভারের ফরম্যাটে পাহাড় টপকানোর মতো স্কোর নয়। রংপুরের দুই ওপেনার জাহিদ জাভেদ ও নাসির ৭ ওভারে ৬১ রানের ভিত দিয়ে বিচ্ছিন্ন হন। জাভেদ ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাজঘরে ফেরেন জীবনের বলে। ওপেনার জাভেদের ২৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল পাঁচটি চার। ম্যাচসেরা নাসির ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আউট হন ছক্কা মারতে যেয়ে। দলীয় ৮৪ রানে আফিফ হোসেনকে ছক্কা মারতে বল শূন্যে ভাসান। সৌম্য অনেকটা দৌড়ে ক্যাচ নেন লং অনে। ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি নাসির খেলেন ৩১ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায়। আবু হাশিম ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩২ বলে ৫ চারে। ৮৪ রানে ২ উইকেটের পতনের পর হাশিম ও নাঈম অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। নাঈম অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। খুলনার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন জীবন ও আফিফ।