ম্যাচটা ছিল মেহেদি মিরাজদের সিরিজে ফেরার। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ টিকিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। এমন হিসাবের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা ২ ওয়ানডে সিরিজ হারের ক্ষত নিয়েই আবুধাবিতে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের পরাজয় আবারও সিরিজ হারের শঙ্কা জাগায়। এবং তাই হলো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারতে হয়েছে মিরাজ বাহিনীকে। ৮১ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল আফগানিস্তান। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে টানা পঞ্চম সিরিজ হারল বাংলাদেশ। সবশেষ ১১ ম্যাচেও লাল-সবুজের দল জিতেছে মাত্র একটি। আর আফগানদের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ হার। আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও ১০ নম্বরে তারা। বিশ্বকাপে খেলতে ৯ নম্বরে থাকতে হবে টাইগারদের।
ওয়ানডে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো কোনো সিরিজ জিততে পারেননি টাইগার অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ। এখন পর্যন্ত তার নেতৃত্বে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছে বাংলাদেশ। গতকালের এমন হারের পর বোলারদের প্রশংসা করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন মিরাজ, ‘আমরা ভালো বোলিং করলেও সহজ ম্যাচটা জিততে পারিনি। ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছে। শুরুতে আমাদের জুটি গড়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়ে খেলছে না। এটাই সমস্যা। সামনে আরও সিরিজ আছে, আশা করি শিগগিরই আমরা কাম ব্যাক করব।’
গতকাল শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানিস্তান ব্যাটিং নিলেও কাজে আসেনি। অধিনায়ক মিরাজের নেতৃত্বে রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিবরা কমেই থামিয়ে দেন আফগানদের। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের ৯৫ রানে ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। মিরাজ ৪২ রানে তিনটি এবং রিশাদ ও তানজিম সাকিব দুটি করে উইকেট নেন। কিন্তু কে জানত রান তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে বাংলাদেশ আবারও ব্যর্থ হবে। হয়েছেও তাই। ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার বৃত্তে মিরাজ বাহিনী। পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও লেগ স্পিনার রশিদ খানের তা বের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শূন্য রানে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেটের মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শুরু। শেষ পর্যন্ত ২৮.৩ ওভারেই ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় মেহেদি মিরাজের দল।
বাংলাদেশের হয়ে মাত্র চারজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পেরেছেন। দলের হয়ে তাওহিদ হৃদয় সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সফলতম বোলার লেগ স্পিনার রশিদ খান। ম্যাচসেরা হন তিনি। আর ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমারজাই।