রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনেকটা শঙ্কামুক্ত। প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনি আমেজ। আবাসন সংকট নিরসন, শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে তাদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ রাকসুর গঠনতন্ত্র।
এতে সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের হাতেই সর্বময় ক্ষমতা রাখা হয়েছে। ফলে রাকসুর সুফল নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে বিপরীত মেরুতে থাকে। সেখানে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষের একক এখতিয়ার সমীচীন নয়। এতে প্রতিবিপ্লবের শঙ্কা বাড়তে থাকে।
জানা গেছে, নির্বাচনের ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে ১০ বছরের অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি। ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট ১২ মাসে ২৪টি সংস্কারের কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। বামপন্থি গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ প্যানেল ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ১০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ প্যানেল ইশতেহারে আবাসন সংকটে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা করছেন।
সতন্ত্র ভিপি প্রার্থী নোমান ইমতিয়াজ শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা সংস্কারের এক দফা ইশতেহার প্রচার করছেন। তবে ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার প্রকাশ করেনি।
এদিকে রাকসু গঠনতন্ত্র ৭(১)(সি) ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য সংসদের ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ যেকোনো সময় যেকোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিকে বরখাস্ত করতে পারেন। এমনকি তিনি পুরো নির্বাহী কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনেরও ডাক দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সর্বোত্তম স্বার্থ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। গঠনতন্ত্রের ৭(১)(ই) ধারা অনুযায়ী, সভাপতির (উপাচার্য) অনুমোদন ছাড়া নির্বাহী কমিটির কোনো সিদ্ধান্তই বৈধ হবে না। এ ক্ষেত্রে উপাচার্যকে বাইপাস করেও সর্বোচ্চ স্বার্থ হাসিল কতটা সম্ভব সেটা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।