বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রথম যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনিই প্রথম রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারীদের জন্য কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি করে নারী জাগরণের ভিত্তি স্থাপন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশে নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবেন।
শনিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আয়োজিত ‘নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাস্টার রফিক আহমদ, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, জাগির আহমদ, আমিনুল ইসলাম, দিল মোহাম্মদ মনজু, এম. মনছুর উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবদুল মইয়ুম চৌধুরী ছোটন, রফিক ডিলার, কাশেম, মোজাম্মেল হক, জাহাঙ্গীর, আবু সাদেক, জামাল আনছারী, মোস্তাক আহমেদ, ইউছুপ মাস্টার, আবদুল হক, ইসমাইল তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মীর হেলাল বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রতিটি পরিবারকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’-এর আওতায় আনা হবে এবং সেই কার্ডের মালিক হবেন পরিবারের প্রধান মহিলা। এটি হবে নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি বাস্তব প্রতীক। একই সঙ্গে নারীদের জন্য সহজ শর্তে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তারা স্বাবলম্বী হয়ে পরিবার ও সমাজে নেতৃত্ব দিতে পারেন। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন—যে নারীরা সমাজে প্রতিনিধিত্ব করেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও মানবিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি। আগামী বাংলাদেশ হবে এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে নারীরা শুধু অংশগ্রহণকারী নন, বরং নীতি নির্ধারক ও নেতৃত্বদাতা হিসেবেও নিজেদের ভূমিকা রাখবেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল