পিটার বাটলার তার শিষ্যদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। ১৭ দিনের ব্যবধানে নারী জাতীয় ও জুনিয়র দল দুই শিরোপা জিতেছে। বাটলার কৃতিত্ব দিলেন মেয়েদের। বললেন, ‘ওরা খুবই ভালো খেলেছে। মিয়ানমারে সিনিয়র ও ঢাকায় জুনিয়ররা যে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে তাতে আমি অবাক হয়নি। ওরা দেশের জন্য জান-প্রাণ দিয়ে লড়ে। এক জয় পেলে রিলাক্স মুডে থাকে না, তা আমি দেখেছি। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী বা দুর্বল হোক, সেরাটা দিয়ে খেলে। সত্যি মেয়েদের নিয়ে আমি গর্বিত। এশিয়ান কাপ বাছাই বা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ দুটোই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট ছিল। এখানে শিরোপা ধরে রাখাটা অবশ্যই কৃতিত্বের। এখন পর্যন্ত ওরা কমিটমেন্ট ফেল করেনি। যা পেশাদার ফুটবলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বাটলার বলেন, ‘টুর্নামেন্টে শিরোপাই মূল লক্ষ্য থাকে। তার পরও মান যাচাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাটাও ফুটবলেরই অংশ। আমি মিয়ানমারে সেরাদের নিয়েই বেস্ট ইলেভেন গড়েছিলাম। এখানে পরীক্ষা করার সুযোগও ছিল না। একটা কথা বলব, ফুটবলে আমি সেরা বা রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকার বিচার করি না। মূল দলে যারা সুযোগ পেয়েছে তারা যোগ্যতা দেখিয়েই এসেছে। আমি তাই অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে অনেক খেলোয়াড় রদবদল করেছি। সবাইকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। এতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। কারণ কেউ ফেল করেনি। পাস মার্কসই পেয়েছে। তাও আবার টেনেটুনে নয়। সবাই ভালো নম্বর পেয়ে পাস করেছে। এতে আমি চিন্তামুক্ত থাকলেও সমস্যার মধ্যে পড়তে পারি। বলতে পারেন মধুর সমস্যা। সাগরিকা শেষ ম্যাচে চার গোল করেছে। তৃষ্ণাও গোল পেয়েছে। কিন্তু কাউকে আলাদা করে দেখার নেই। সবাই ভালো খেলেছে। সামনে তো আরও টুর্নামেন্ট আছে। কাকে রাখব বা রাখব না কোচ হিসেবে সত্যিই আমার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে।’
আমি ভাগ্যবান যে, এমন মধুর সমস্যার মধ্যে আছি।’