মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনাজনিত অগ্নিকাণ্ড থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে স্কুলের ভিতর ছুটে যান মা রজনী খাতুন। এদিকে মেয়ে অন্যদের সহায়তায় বাইরে এলেও রজনী খাতুন আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হন। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে রাতে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রজনী খাতুন মেহেরপুরের গাংনীর বাওট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদের মেয়ে। স্বামী জহিরুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। জহিরুলের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুরে।
ভাই আশিক জানান, গতকাল ভোরে রজনী খাতুনের লাশ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয় এবং সেখানেই দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি আরও জানান, ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করেন। এ কারণে রজনী খাতুনকে নিয়ে উত্তরায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাদের মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। প্রতিদিনের মতো স্কুল থেকে ঝুমঝুম খাতুনকে আনতে গেলে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়, তারপর ট্র্যাজেডির শিকার হন তিনি।