লক্ষ্মীপুরে কুলছুমা আক্তার কল্পনা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে গৃহবধূর স্বজনরা এ অভিযোগ তোলেন। ঘটনার পর থেকে কল্পনার দেবর পলাতক রয়েছে।
বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মনু মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য তিন সন্তানের জননী কল্পনার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে নিহতের পায়ে শশুর দেবর ননদ সহ চারজনের নাম লেখা পাওয়া গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান। নিহত কল্পনা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের শহীদপুর গ্রামের মনু মিয়ার বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. রোমনের স্ত্রী।
নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন ও তাসলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৮ দিন আগে কল্পনার কন্যা সন্তান হয়েছে। সেজন্য মঙ্গলবার বাড়ি থেকে লোকজন তাকে দেখতে যায়। এসময় মিষ্টিসহ বিভিন্ন জিনিপত্র নিয়েছে। সেগুলো কম হওয়ায় কল্পনার শ্বশুর-শ্বাশুড়িরা তাকে বিভিন্ন কথা শোনায়। এছাড়া সিজারের করার টাকা নিয়ে বাক বিতন্ডা হয় পরিবারের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কল্পনার দেবর রাশেদ পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন গিয়ে তার মরদেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখে।
আলমগীর আরও বলেন, ১৬-১৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে কল্পনা ও রোমানের বিয়ে হয়। তার স্বামী ওমান থাকে। সেই সুযোগে শ্বশুর খোরশেদ আলম ও শ্বাশুড়িসহ তাকে নানানভাবে নির্যানত-নিপীড়ন করে আসতো। তারাই তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। নিহতের শ্বশুর খোরশেদ জানান সিজারের টাকা কম বেশী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে কেই মারধর করেনি।
এদিকে ঘটনার সমঝোতা করতে তৎপর রয়েছে সামাজিক লোকজন।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজীম বলেন, শুনেছি গৃহবধূ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ তাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পায়নি। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনও আত্মগোপনে রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম