পঞ্চগড়ে বর্ষাকালের সকালে নেমেছে শীতের আমেজ। ভ্যাপসা গরমের মধ্যেও বুধবার (২৩ জুলাই) ভোরে দেখা মিলেছে ঘন কুয়াশা। ভোর ৬টা পর্যন্ত থাকা এই কুয়াশা যেন শীতকালকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
স্থানীয়দের অনেকেই জানান, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) গভীর রাত থেকেই হঠাৎ করেই কুয়াশা নামে। বয়স্কদের মতে, গত ৫০ বছরেও এমন দিনে কুয়াশার দেখা মেলেনি। অনেকে এটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হিসেবে দেখছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়- বুধবার ভোরে কুয়াশার কারণে ঘাস ও ফসলের ক্ষেতে শিশির বিন্দু জমে ছিল, যা শীতকালের আবহাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। পঞ্চগড়ের বাসিন্দারা এই অন্যরকম সকাল বেশ উপভোগ করেছেন। তবে সকাল আটটার পর সূর্য ঝলমলে রোদের দেখা দেয় এবং তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে উত্তরবঙ্গের এই জেলায় গরম বেশ ভালোই অনুভূত হচ্ছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পর্যবেক্ষক) জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, মৌসুমি বায়ু অতিরিক্ত সক্রিয় হওয়ায় এবং বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে কুয়াশা দেখা যায়। একইসঙ্গে তা হালকা বৃষ্টিতে রূপ নেয়, তবে তা রেকর্ডযোগ্য পরিমাণ নয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ৬টা ও ৯টায় পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। তবে ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকলেও আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান এই অস্বাভাবিক কুয়াশার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, রাতের তাপমাত্রা কমে গেছে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র জলকণা কুয়াশা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ