চুয়াডাঙ্গায় জেলা মডেল মসজিদের গেটের সামনে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বর্জ্য অন্যত্র ফেলার দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে। একমাত্র ওই রাস্তা দিয়েই মুসল্লিরা মসজিদে যাওয়া আসা করেন। দুর্গন্ধে অতিষ্ট মুসল্লিরা মসজিদে যাওয়া আসার সময় মুখে কাপড় চেপে ধরে আসা যাওয়া করেন বলে সাধারণ মুসল্লিসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত বর্জ্য সকালে এনে স্তূপ আকারে জমা করা হয় জেলা মডেল মসজিদের সামনে। বিকেলে পৌরসভার ট্রাকে করে ভিমরুল্লা এলাকার নির্ধারিত স্থানে নেওয়া হয়। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশে এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা অতিষ্ট হয়ে ওঠেন। মসজিদের মুসল্লি আনারুল ইসলাম বলেন, মসজিদের সামনে বর্জ্য রাখা খুব বাজে দেখায়। এটি দ্রুত বন্ধ করা দরকার এবং পৌরসভার উচিত ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য অন্য কোনো জায়গা নির্ধারণ করা।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বর্জ্যরে কারণে এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভাকে দ্রুত বিকল্প জায়গা নির্ধারণ করা উচিত।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. সাইফুল্লাহ জানান, বর্জ্যের পরিমাণ শহরে বেশি থাকায় অল্প সময়ের জন্য এখানে রাখা হয়। দুপুরের মধ্যে তা সরিয়ে নেওয়া হয়, তারপরেও যেহেতু মুসল্লি ও এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে তাই আমরা দ্রুত অন্য জায়গায় আবর্জনা ফেলার জায়গাটি নির্ধারণ করব।
বিডি প্রতিদিন/এএ