শুধু টি-২০ ক্রিকেট নয়, টেস্ট এবং ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের গল্পগুলো সব একই রকম। কদাচিৎ জয়। অধিকাংশ ম্যাচেই একপেশে লড়াই এবং হার। পাকিস্তান সফরেও এর ব্যত্যয় হয়নি। অথচ টি-২০ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস ও কোচ ফিল সিমন্স। স্বপ্ন আর বাস্তবতার ব্যবধান যে অনেক, তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজে স্পষ্টভাবে বুঝেছেন কোচ ও অধিনায়ক। লিটন বাহিনী ম্যাচ তিনটি হেরেছে যথাক্রমে ৩৭ ও ৫৭ রানে এবং ৭ উইকেটে। হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে একি দশা? শুধু হেরেই চলেছে। রবিবার রাতে বড় ব্যবধানে হারের পরও সিরিজ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন কোচ সিমন্স, ‘সবচেয়ে ইতিবাচক হলো আমরা চেষ্টা করছিলাম এ উদ্বোধনী জুটি কার্যকর করতে। তানজিদ ও ইমন দেখিয়েছে একসঙ্গে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে ওরা।’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের মধ্যে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন শতরানের জুটি গড়েন। রবিবার রাতে দুজনে ১০.৪ ওভারে ১১০ রানের জুটি গড়েন। এ শতরানের জুটিতেই সন্তুষ্টি ঝরেছে টাইগার কোচের! হোয়াইট ওয়াশ হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন লিটনরা
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৬৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৪ রানের পর তৃতীয় ম্যাচে অপেক্ষাকৃত ভালো ব্যাটিং করেন টাইগাররা। দুই ওপেনার শতরানের জুটি গড়লে ২০ ওভারে ৬ উইকটে ১৯৬ রান করে লিটন বাহিনী। আগের দুই ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে রান ছিল যথাক্রমে ১৪ ও ৪৪। সিরিজে মাত্র দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে তানজিম সাকিব ৩১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রান এবং তৃতীয় ম্যাচে ইমন ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন ৩৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায়। আমিরাতের বিপক্ষে শারজায় প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমন। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো হাফ সেঞ্চুরি না থাকলেও সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন তানজিদ তামিম। তিন ম্যাচে তাঁর রান যথাক্রমে ৪২, ৩৩ ও ৩১। অধিনায়ক লিটন রান করেছেন যথাক্রমে ২২, ৬ ও ৪৮। তাওহিদ হৃদয় ২৫, ৫ ও ১৭ রান করেন। জাকের আলি অনীক করেন ১৫*, ০ ও ৩৬ রান। ব্যাটারদের পারফরম্যান্সের কোনো ধারাবাহিকতা নেই। বোলাররাও ব্যর্থ ছিলেন। পেসার তানজিম সাকিব ৪টি, হাসান মাহমুদ ৩টি, শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি মিরাজ ২টি করে উইকেট পান। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সে হতাশ টাইগার অধিনায়ক লিটন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নের কথা বলেন, ‘শুরুর দুই ম্যাচে আমরা ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং করিনি। কিন্তু লাহোরের উইকেটে ভালো ব্যাটিং করেছি। ভালো উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, তা শিখতে হবে।’ সিরিজে ইমন ও তানজিদ ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা একটি ম্যাচ না জিতলেও স্থানীয় (লাহোর) ক্রিকেটপ্রেমীরা উপভোগ করেছেন। ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’ বাংলাদেশ দুই টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলতে চলতি মাসে শ্রীলঙ্কা যাবে।