রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর নবরাত্রি হলে চলছে নবম বাংলাদেশ চামড়া ও জুতা শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। গতকাল ছুটির দিন থাকায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় ছিল প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিটি স্টলে ছিল ক্রেতাসাধারণের উপচে পড়া ভিড়। উৎসুক ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন স্টলসংশ্লিষ্টরা। একই ছাদের নিচে চামড়া ও জুতা শিল্পের বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়ায় দর্শনার্থীরাও খুশি। আজ এ প্রদর্শনীর শেষ দিন।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জুতা, ব্যাগ, স্পোর্টসওয়্যার, চামড়াজাত পণ্য, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদন লাইন, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা তৈরির বিভিন্ন ধরনের উপকরণ, চামড়া, সিনথেটিক বা কৃত্রিম চামড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রদর্শনীতে দেশিবিদেশি ২৫০টির মতো কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে লেজার মেশিন কেনার জন্য প্রদর্শনীতে এসেছেন জিহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীর ভেন্যু হিসেবে আইসিসিবি বেশ চমৎকার। বিশাল আকারের হল। ভিতরে পর্যাপ্ত পার্কিংসুবিধা, পরিবেশও বেশ সুন্দর। মেলায় ঘুরে পণ্য দেখতে ভালোই লাগে। লেজারের বিভিন্ন মেশিন দেখেছি। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ডেলিভারি নিতে সময় লাগবে।’
প্রদর্শনীতে কথা হয় থ্রি টেকের সিইও মো. তাসনিম আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা লেদারের সব পণ্য তৈরি করে থাকি। এখানে ব্যাগ, ওয়ালেট, বেল্ট, জুতা, অফিস ব্যাগ ও লেদারের জায়নামাজ প্রদর্শন করছি। আমরা গত ২০ বছর সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। এবারের মেলায় খুব বেশি সাড়া পাচ্ছি। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে। ওয়ালেট ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেল্ট ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, লেদার ব্যাগ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মানের কারণে দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ক্রেতার কাছে আমাদের পণ্যের চাহিদা রয়েছে।’ কোলাজেন বাংলাদেশের পরিচালক রামন রানা বলেন, ‘আমরা কাঁচা চামড়া থেকে ফিনিশড্ চামড়া তৈরি করে থাকি। আমাদের থেকে চামড়া নিয়ে অনেকে ফিনিশ পণ্য রপ্তানি করে। ফোর এস অ্যাডভ্যান্স টেকনোলজির ম্যানেজিং পার্টনার মো. আকতার উজ জামান বলেন, ‘এখানে চামড়া ও জুতার ওয়ানস্টপ সলিউশন রয়েছে। সব ধরনের মেশিনারিজ থেকে শুরু করে তৈরি পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে বিদেশ থেকে মেশিন এনে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের জুতা উৎপাদনকারী প্রায় সব প্রতিষ্ঠান আমাদের মেশিনারিজ ব্যবহার করে।’