২৭ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে নেত্রকোনায় পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধের এবং পরবর্তীতে প্রতিবাদের নোটিসে নেট দুনিয়ায় চলছে সমালোচনার ঝড়। এ বিষয়ে জানতে পুলিশ লাইনস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জানান, পেইজটি হ্যাক হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে প্রতিবাদ দেওয়া হয়েছে। এখন পেইজটি রিকভারিও হয়েছে। জানা গেছে, এনসিপির দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আগামী ২৭ জুলাই নেত্রকোনায় সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরাল মাঠে সকালে ১০টায় সেই পথসভা বা সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই দিন আগেই পুলিশ লাইনস স্কুলের ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজ থেকে পরপর দুটি নোটিস পোস্ট করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত ২৪ জুলাই জেলা পুলিশ প্রশাসন পরিচালিত শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইনস স্কুল এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে আগামী ২৭ ও ২৮ জুলাই দুই দিন স্কুল বন্ধ ও পরীক্ষা স্থগিতের আদেশ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে। পরে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আরও একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এর পরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ গতকাল সকালে এক প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে ২৭ ও ২৮ জুলাই যথারীতি স্কুল খোলা থাকার বিষয়টি জানিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। আগের নেটিসে স্বাক্ষর করেন পুলিশ লাইনস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক। পাল্টাপাল্টি নোটিস দুটি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। চলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এতে সৃষ্টি হয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেকের মুঠোফোনে বারবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোনটি কেটে দিয়ে একপর্যায়ে বন্ধ করে দেন।
তবে এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ এক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে এই প্রতিবেদককে জানান, গতকাল রাতে পোস্টটি স্কুলের পেইজে শেয়ার হয়। পরবর্তীতে আজ (শুক্রবার) সকালে বিভ্রান্ত না হতে একটি প্রতিবাদলিপি পোস্ট করা হয়। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি ভেবেছিলেন এটি ঊর্ধ্বতন কেউ হয়তো দিয়েছে। যেহেতু তার নিজের স্বাক্ষর। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেইজটি হ্যাক হয়েছে। তবে হ্যাক হওয়া পেইজটি সর্বশেষ ফেরত আনা হয়েছে। এটি স্কুলের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে জানান তিনি।