দল থেকে নেইমারের ছিটকে পড়ায় বেশ আশাহত হয় সতীর্থ ও সমর্থকরা। খেলায় ফেরার আশা দেখিয়ে ছিলেন তিনি। কেননা দীর্ঘদিন তিনিই মাঠের উন্মাদনা ও উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দিতেন দ্বিগুণ করে। এদিকে ভিনিসাস, রাফিনিয়ারা ক্লাব ফুটবলে দারুণ ছন্দে থাকলেও ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ভুগছে সেলেকাওরা। যা ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য কষ্টের। এবার সব অপূরণতা পূরণ করে দিলেন সুপারস্টার ভিনিসাস। তার শেষ মুহূর্তের স্পর্শেই ২-১ গোলের জয় পেল সেলেকাওরা। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এক লাফে দুইয়ে উঠেছে দলটি। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। পরের ম্যাচে দলটির মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এ জয়ের আগে ১০ দলের মধ্যে তারা ছিল পাঁচে। সবশেষ দুই ম্যাচে ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারায় ভিনিরা। তাই এবারের দুই ম্যাচে পয়েন্ট পাওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তবে ম্যাচে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ করলেও কলম্বিয়ানদের অভিযোগ টেকেনি।
গতকাল ঘরের মাঠ গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে শুরুর ৬ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৪১ মিনিটে কলম্বিয়ার হয়ে গোল করেন লুইস দিয়াজ। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। একটা সময় মনে হয়েছিল ম্যাচ হয়তো ড্র হবে। কিন্তু ম্যাচ শেষের আগে ৯০ মিনিটের পর যোগ করা ১২ মিনিট সময়ের ৯ মিনিটে গোল করেন ভিনিসাস। এখানেই ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ওঠে। ম্যাচে ব্রাজিল মোট সাতজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি ম্যাচে পাঁচ ফুটবলার পরিবর্তন করা যায়। তারা বদলি হিসেবে নামিয়েছে জোয়েলিন্টন, ম্যাথিউস কুনিয়া, স্যাভিনিও, আন্দ্রে, ওয়েলসি ফ্র্যাঙ্কা, বেন্তো, ওরতিজ। সাতজন হলেও নিয়ম ভাঙেনি ব্রাজিল। ৬৯ মিনিটে মাথায় চোট পেয়ে বেরিয়ে যান গোলকিপার অ্যালিসন। কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দাভিদসনের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর তার জায়গায় বেন্তোকে নামানো হয়। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্লেয়ার কনকাসন সাব হলে অর্থাৎ- মাথায় চোট পেয়ে বেরিয়ে গেলে অতিরিক্ত একটা পরিবর্তন করতে পারে দল। সেই হিসেবে ব্রাজিল সাত পরিবর্তন করেছে। একই সুযোগ ছিল কলম্বিয়ার সামনেও, কিন্তু তারা সেটা করেনি।