মাঠে খেলার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের স্টেডিয়ামের দর্শকের উচ্ছ্বাসকে সামলে নিয়ে দুরন্ত খেলছিল বাংলাদেশের যুবারা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় দারুণভাবে শেষ করে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের কাছে গিয়েও পারল না অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের বাংলাদেশ। ভারতীয় যুবারা নিয়ে নিল নিজেদের মাঠের সুবিধা। দর্শকদের উচ্ছ্বাসের চাপ সামলাতে না পেরে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারের বেদনা পেতে হয় বাংলাদেশের যুবাদের। অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক এ সাফে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত। বাংলাদেশের যুবারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ভারত শিরোপা জিততে মরিয়া ছিল। কিন্তু বাংলাদেশও ট্রফি হাতছাড়া করতে চায়নি।
গতকাল অরুণাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ভারত ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিনের ভুলে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে দেখায় অসাধারণ ফুটবলশৈলী। ম্যাচের ২ মিনিটে সিংগামায়ুম শামির উড়ন্ত ফ্রি কিক থেকে লিড নেয় ভারত। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ৪১ মিনিটে ভারতের জালে বল পাঠায়; কিন্তু রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজান। বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে যুবারা। ৬১ মিনিটে বদলি জয় আহমেদের গোলে সমতায় ফেরে লাল-সবুজের দল। উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা যুবারা ফিরে পায় হারানো আত্মবিশ্বাসও। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। পেনাল্টি শুট আউটে মিঠু চৌধুরী প্রথম শটেই গোল করেন। ভারতের আরবাশের নেওয়া শটও জাল কাঁপায়। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মোর্শেদ আলীর দ্বিতীয় শটে বোকা বনে যান ভারত গোলকিপার। ভারতের রোহেনের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন গোলকিপার মাহিন। জয় আহমেদ তৃতীয় শটে গোল করেন। ভারত বাকি শটগুলোতে গোল করলেও বাংলাদেশের নাজমুল আর শাহেদ পারেননি। তাতেই গড়ে দেয় ফাইনালের ভাগ্য। সাফের বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় ভারতের বিপক্ষে তিনবারের লড়াইয়ের সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ।