কোনো কাজই আসলে থেমে থাকে না। কোচ পিটার বাটলারের ক্যাম্প বর্জন করেছিলেন ১৮ ফুটবলার। যারা সবাই জাতীয় দলের। অক্টোবরে এ নারী দলই নেপালকে ফাইনালে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশের ফুটবলে তাদের কদরই আলাদা। বিশেষ করে সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্ডা ও স্বপ্নারা তো মহাতারকা। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজে বিদ্রোহীদের অনেক বুঝিয়েছেন। তবু কাজ হয়নি। ১৮ ফুটবলারের এক কথা প্রয়োজনে গণ অবসরে যাব। তবু বাটলারকে মানব না। বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একসঙ্গে জাতীয় দলের ১৮ জন ছাড়া মাঠে নেমেছে এমন ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবে ফুটবলপ্রেমীরা চিন্তায় ছিলেন, তাদের ছাড়া আরব আমিরাতে নারী দল যেতে পারবে কি না?
শেষ পর্যন্ত ঠিকই আরব আমিরাতে বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল গেছে এবং গতকাল দুবাইয়ে প্রথম প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছে স্বাগতিক দেশের বিপক্ষে। তবে ম্যাচ জেতা হয়নি। আরব আমিরাতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল। ৩০ অক্টোবর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলার পর ১১৮ দিন পর মাঠে নামল বাংলাদেশ। হয়তো কেউ কেউ বলবেন, সাবিনারা যেখানে নেই সেখানে জাতীয় দল জিতবে কীভাবে? না আফিদারা সমানতালেই লড়েছেন। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকলে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ গোল পেতে মরিয়ে হয়ে ওঠে। সুযোগ হাতছাড়া করায় জালে আর বল জড়ায়নি। বরং আমিরাত ব্যবধান বাড়িয়ে ৩-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে। ২ মার্চ দুই দেশের শেষ ম্যাচ।
কারোর ক্ষোভ বা অভিমানে ফুটবল থেমে থাকতে পারে না। গতকাল তাই প্রমাণ হলো। আফিদা খন্দকাররা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন আমিরাতে। তখন বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন সাবিনারা। কেউ যদি নিজেকে অপরিহার্য মনে করে তা যে কতটা ভুল, প্রীতি ম্যাচেই প্রমাণ মিলেছে। নারী জাতীয় দলে নতুন এক বাংলাদেশের দেখা মিলল। আফিদা অধিনায়ক হিসেবে নতুন। বাংলাদেশ দলও অনেকটা নতুন। ম্যাচের ফল যাই ঘটুক ফুটবলে বাংলাদেশের দিনটি ছিল অন্যরকম। ২ মার্চ দুই দেশের দ্বিতীয় ম্যাচ। এরপর সাবিনাদের জাতীয় দলে খেলতে হলে যোগ্যতার প্রমাণ ভালোভাবেই দিতে হবে।