কেঁচোর ওপর নির্ভর করে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কলেজপড়ুয়া চিন্ময় রায় নামের এক তরুণ উদ্যোক্তার মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকা। শুধু ভালো রোজগার করছেন এমনটাই নয়, এই তরুণ উদ্যোক্তার উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যবহার করে কৃষিতেও লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক চাষি। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে সেই সঙ্গে সাশ্রয় হচ্ছে ফসলের উৎপাদন খরচ। আবাদকৃত জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসল উৎপাদন বাড়ছে কয়েকগুণ। দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে তার পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এদিকে খরচ কম আর লোকসানের ঝুঁকি না থাকায় অনেকেই ঝুঁকছেন ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদনে। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া এলাকায় থাকেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। কৃষি বিভাগ থেকে এসএসিপির প্রশিক্ষণ পেয়ে শুরুতে স্বল্প পরিসরে শেড তৈরি করেন তিনি। পরে নিজ গোয়ালঘর থেকেই গরুর কাঁচা গোবর সংগ্রহ করে পদ্ধতিগত মিশ্রণের পর সেখানে ছেড়ে দেন রেড উইগলার প্রজাতির কেঁচো। আর তা থেকেই শুরু হয় এই তরুণের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। প্রথমে পরিবারের সহযোগিতায় উৎপাদন শুরু হলেও এখন তার কেঁচো সার উৎপাদন খামারে কাজ করেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। অন্তত অর্ধশতাধিক শেডেই প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে বিষমুক্ত ভার্মি কম্পোস্ট সার। এ ছাড়াও ট্রে পদ্ধতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মানসম্পন্ন উন্নতমানের সার উৎপাদন করেন তিনি। যা রাসায়নিক সারের চেয়ে কয়েকগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। আর তা কৃষিতে ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্পন্ন ফসল উৎপাদন করছেন চাষি। একাধিক কৃষক জানান, এক সময় কীটনাশক ছাড়া কোনো ফসল চাষ তারা চিন্তা করতে পারতেন না। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তারা রীতিমতো দুশ্চিন্তায় থাকতেন। তবে বর্তমানে কৃষি অফিসের পরামর্শে নানা রকম জৈবসার ব্যবহারে সেই চিত্র অনেকটাই যেন পাল্টে গেছে। ভার্মি কম্পোস্ট খামার তরুণ উদ্যোক্তা চিন্ময় রায় জানান, কৃষি বিভাগ নিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি সার উৎপাদনে আরও বিপ্লব ঘটাতে চান। বর্তমানে তার লক্ষ্য রাসায়নিক সার ব্যবহার থেকে কৃষককে সরিয়ে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘বেকার লোকজন বাড়িতে অলস সময় পার না করে কৃষি অফিসের পরামর্শে এই সার উৎপাদন করলে তারাও মাস শেষে ভালো টাকা আয় করতে পারবে। অবদান রাখতে পারবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায়।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, তার এই সফলতার পিছনে ভূমিকা রেখেছে কৃষি বিভাগে। মানবদেহে ক্ষতিকর বিষযুক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে কেঁচো সার উৎপাদন বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
শিরোনাম
- রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে বিপদ অপেক্ষা করছে: এ্যানি
- তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার শক্তি অপপ্রচারকারীদের নেই : মীর হেলাল
- ‘জুলাই শহিদদের বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে’
- চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলনের মামলার প্রথম চার্জশিট দিল পুলিশ
- চট্টগ্রামে সাপের কামড়ে দুইজনের মৃত্যু
- সিলেটে রাতে নিখোঁজ, সকালে ধানক্ষেতে মিলল মরদেহ
- জুলাইয়ের মায়েরা কাঁদলেন, কাঁদালেন
- ‘পতিত সরকার ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে’
- এবার শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেবে কম্বোডিয়া
- ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য না থাকলে সকল অর্জন ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
- দক্ষিণ আফ্রিকায় এক হাজার অবৈধ অভিবাসী খনি শ্রমিক গ্রেফতার
- হবিগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা
- ঐক্যের বিকল্প নেই, ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি হবে দুঃস্বপ্ন : ডা. জাহিদ
- নেত্রকোনায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস ও সম্মাননা প্রদান
- সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই : আমীর খসরু
- ইলন মাস্কের টেসলাকে ২৪৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা
- যশোরে জুলাই শহীদদের স্মরণে ড্যাব’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
- মির্জাপুরে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, নারীসহ গ্রেপ্তার ৬
- ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় নিহত ৩
- জাবিতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
কেঁচো সারে শিক্ষার্থীর ভাগ্যবদল
উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর