সরকারি ৪২টি বিদ্যালয়ের মতো বাকি বিদ্যালয়গুলোকেও বেতন সুরক্ষা প্রদান, চাকরিকালের ভিত্তিতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল চালু এবং বদলির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে সরকারিকৃত মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ছিদ্দিক আহম্মেদ লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে প্রণীত সরকারিকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালায় এখনও নানা অসংগতি রয়ে গেছে। একই সময়ে ও একই বিধিতে এডহক নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও বেতন নির্ধারণে বৈষম্য করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও এর মধ্যে মাত্র ৪২টি বিদ্যালয় বেতন সুরক্ষা সুবিধা পেয়েছে। বাকিদের এ সুবিধার বাইরে রাখা চরম বৈষম্য।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে বদলি ব্যবস্থা চালু থাকলেও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আত্তীকরণ বিধিমালার ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী বদলির সুযোগ নেই। এতে শিক্ষক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এছাড়া সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ভবিষ্যতে কারিগরি শিক্ষা প্রসার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পরিষদের সভাপতি ছিদ্দিক আহম্মেদ আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষক সমাজের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই বৈষম্য দূর করে সরকারিকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সুরক্ষা, পদোন্নতি ও বদলি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আ. কাদির, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামানসহ খুলনা বিভাগের সভাপতি এস এম ফারুক আহাম্মদ ও সহ-সভাপতি মো. নুরুল আমিন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল