আমার এক ছোটভাই বললো, আমাদের গাছে একটা কাঁঠাল হয়েছে। বারোমাসি কাঁঠাল। অফ সিজনের কাঁঠাল আর কি। তো মা বললো কাঁঠালটা যাতে আমাদের এক আত্মীয়বাড়িতে দিয়ে আসি। আমি তখন কী বলেছি জানেন? বলেছি খরচা আছে। বেশ খরচা। যদি হাজার পাঁচেক টাকা খরচা করতে পারেন, তবেই কাঁঠালটা দিয়ে আসতে পারি। যাতায়াত খরচা। আমি বললাম, এটা কী ধরনের কথা? আমি তো জানি তোদের সব আত্মীয় কাছাকাছিই থাকে। তাহলে যাতায়াত খরচা ৫ হাজার টাকা লাগবে কেন? ছোটভাই বললো, বাস ভাড়া ১০০ টাকা, এসি প্রাইভেটকার ভাড়া প্রায় ৫ হাজার টাকা। আমি বললাম, তোর কথা ঠিক বুঝলাম না। তুই আমাকে হঠাৎ গাড়ি ভাড়ার রেট শোনাচ্ছিস কেন? ছোটভাই বললো, এই জন্য শোনাচ্ছি, যেহেতু কাঁঠালটা এসি প্রাইভেটকারে করে নিতে হবে। আমি এবার আকাশ থেকে পড়ে বললাম, কাঁঠাল প্রাইভেটকারে করে নিতে হবে? কিন্তু কেন? ছোটভাই বললো, গত কয়েক দিনে কী পরিমাণ গরম পড়েছে, আপনার আইডিয়া আছে? যদি আইডিয়া থেকে থাকে, ভালো। আর যদি না থাকে, তাহলে আমি কী বলি শোনেন। আমি এক জায়গায় গিয়েছিলাম পাবলিক বাস যোগে। আমার কাছে মনে হয়েছে আমার শরীরের মাংস সিদ্ধ হয়ে গেছে গরমে। এ ছাড়া গায়ে ঘামাচি তো উঠেছেই। তো আমার অবস্থা এমন হলে, কাঁঠালের ভিতরের অংশ সিদ্ধ হতে পারে কি না? আমার গায়ে যদি ঘামাচি উঠতে পারে, কাঁঠালের গায়ে তো জন্ম থেকেই ঘামাচি। আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, কাঁঠালের গায়ে জন্ম থেকেই ঘামাচি মানে? ছোটভাই বললো- না, মানে কাঁঠালের গায়ের কাঁটার কথা বলছিলাম আর কি। কাঁটাকে ‘কাঁটা’ না বলে ঘামাচি বললাম। তো এই যখন অবস্থা, এই অবস্থায় তো কাঁঠাল বেচারাকে নিয়ে পাবলিক বাসে যাতায়াত করা যাবে না। নিতে হবে এসি গাড়িতে। এসি গাড়ির খরচার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে না? আমি এবার ধমক দিলাম। বললাম, ছোটখাটো একটা বিষয়কে টেনে এত লম্বা করার কোনো মানে হয়? ভীষণ গরম পড়েছে, এটা ঠিক। তাই বলে এত অস্থির হয়ে যেতে হবে? ছোটভাই বললো, অস্থির না হয়ে করবেন কি? পাবলিক বাসের অবস্থা যেমন তেমন, রাজপথের অবস্থা তো আরও গরম। আমি বললাম, রাজপথের অবস্থা তো গরম হবেই। পিচ আছে না? পিচ রোদে খুব গরম হয়। পা ফেলা যায় না। ছোটভাই বলল, আপনি সারা জীবন বোকাই থেকে গেলেন ভাই। রাজপথের গরম বলতে আমি কি পিচ গরমের কথা বলেছি? আমি বলেছি এই যে রাজপথে যখন তখন মিছিল হচ্ছে, সেই বিষয়ে। আমি বললাম, এসব নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। কারণ আমি কথা শেষ করতে পারলাম না। এর আগেই ছোটভাই বলে উঠলো, এসব নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু না থাকলেও বাজারের গরম নিয়ে নিশ্চয়ই বলার আছে। আমি বললাম, বাজারের গরম সহ্য করতে না পারলে এসি আছে এমন দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনলেই হলো। ছোটভাই বললো, আপনি শুধু বাইরের গরমটাই দেখলেন। ভিতরের গরমটা, মানে অতিখরচ বা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টা দেখলেন না। আমি বললাম, কীভাবে দেখি, বল! চোখে আজকাল কম দেখি। ছোটভাই এবার বিরক্ত হয়ে বললো, কী সব কথা বলেন! এসব কি চর্মচক্ষে দেখার জিনিস? থাক, বাদ দেন। আপনার সঙ্গে কথা বলা আর কলাগাছের সঙ্গে কথা বলার একই বিষয়। তো বউয়ের মেজাজ যে অলটাইম গরম থাকে, শীত নাই, গ্রীষ্ম নাই; এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? আমি কিছু না বলে চারদিকে বার কয়েক তাকালাম। ছোটভাই জিজ্ঞাসা করলো, কী দেখছেন? আমি বললাম, এ বিষয়ে কথা শুরু করার আগে দেখে নিলাম তোর ভাবি আশপাশে আছে কি না। কবি বলেছেন, সেফটি ফার্স্ট।
শিরোনাম
- আদালতের লাগাতার রুলিংয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
- অবশেষে জানা গেল ‘ধামাল ৪’ মুক্তির তারিখ
- ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- শপথ গ্রহণ নিয়ে যা বললেন ইশরাক
- ইউক্রেন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলন যুদ্ধ অবসানে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’: এরদোগান
- বগুড়ায় মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদকারী মা-বাবা নিরাপত্তাহীনতায়
- আমি ছাড়াও সেই আইনজীবীর হাতে অনেকেই যৌন হেনস্থার শিকার: নিমরিত
- বগুড়ার আদমদীঘিতে নবাগত ইউএনওর সাথে মতবিনিময় সভা
- গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর
- ইউটিউবের বিজ্ঞাপন এবার আরও বেশি মনোযোগ ও অভিজ্ঞতা নষ্ট করবে
- ২৩ বছর পর লিগ শিরোপার স্বাদ পেল মোহামেডান
- বগুড়ায় চোলাই মদসহ আটক ১
- কালিহাতীতে নারীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯
- মুন্সিগঞ্জে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
- রাজধানীর কয়েক জায়গায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ডাসারে ‘মাইজপাড়া’ খাল উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন
- কুলাউড়ায় দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি কর্মসূচি আরও একদিন বাড়ল
- সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইশরাক
গরম
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
সর্বশেষ খবর