দেশে মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সরকার যদি কঠোর অবস্থানে থাকত, তাহলে এভাবে একের পর এক মব সৃষ্টি হতো বলে মনে করি না। দিন দিন এটা বাড়ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে তেমন ভূমিকা দেখছি না।
এভাবে চলতে থাকলে সমাজে আরো বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তার আগেই সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
এরই মধ্যে দেশে মব ভায়োলেন্সে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অনেক মানুষ আহত হয়েছে।
অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব সার্বিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রর ওপর পড়েছে। তাই মবের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে, এগুলো বেআইনি কাজ। সরকার বলছে, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু যদি এই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে দেশে আরো বিশৃঙ্খলা বাড়বে। কারণ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে কঠোরভাবে মব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সামাজিকভাবেও এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে। এখন যেভাবে সমাজে মব ভায়োলেন্স চলছে, তাতে শুধু পুলিশের পক্ষে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
এর দায় সমাজের সব মানুষেরও আছে। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে, সব কিছুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
লেখক : সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ