‘৩ ও ৪ আগস্ট (২০২৪) মাদরাসার ছাত্ররা মাথায় কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামে। তারা না নামলে স্বাধীনতা দেখা লাগত না-’ এমন মন্তব্য করা হয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের গণসমাবেশে। রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গতকাল আমার দ্বীন, আমার জমিন- স্লোগান সামনে রেখে সমাবেশে জড়ো হন জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। গণসমাবেশে উত্থাপন করা হয় পাঁচ দাবি। সেগুলো হলো- আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বেগবান, আলেমসহ প্রশাসনের সব খুনি ও ধর্ষকদের বিচার, ইসলামপন্থিদের হয়রানিমূলক জঙ্গি বানানোর নাটক বন্ধ করা, ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিল ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করা।
ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদ্রিসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমাদ রফিক, ডা. মেহেদী হাসান, মুফতি তারেকুজ্জামান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফুল্লাহ, মুফতি ফখরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফা মনজুর, মাওলানা তানজিল আরেফিন আদনান প্রমুখ।
মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট যদি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঢাকাসহ সারা দেশে মাথায় কাফনের কাপড় পরে না নামত তাহলে কোনো স্বাধীনতা দেখা লাগত না। আজ আমরা অবহেলিত।
মুফতি তারেকুজ্জামান বলেন, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামপন্থিদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করা চলবে না। নতুন বাংলাদেশ কেবল শহুরে শিক্ষিত শ্রেণির জন্য নয়, গ্রামের মুয়াজ্জিন, হাটের হুজুর, মাদরাসার ছাত্রেরও জায়গা থাকতে হবে।
আহমাদ রফিক বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে ইসলামপন্থিদের স্বীকৃতি মেলেনি। এই জমিনে ইসলাম আছে, এই জমিনে ইসলাম থাকবে। জ্লুাইয়ের অর্জন আমাদের রক্ষা করতে হবে।