বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে এই প্রথম এক দিনে ক্রিকেট, ফুটবল ও হকি জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে খেলেছে। হকিতে খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে টেস্টের যে চিত্র, তাতে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। ২১৫ রানে এগিয়ে থেকে আজ চতুর্থ দিন নাজমুল বাহিনী মাঠে নামবে আইরিশদের অবশিষ্ট ৫ উইকেট নিতে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে বাংলাদেশের টেস্ট জয় এখন সময়সাপেক্ষ। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান তুলে। ৩০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সফরকারীরা। ৮৬ রান তুলতেই ইনিংসের অর্ধেক ৫ উইকেট খুঁইয়ে বসে। গতকাল তৃতীয় দিন সেঞ্চুরি করেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০০ রান করেন ১১৪ বলে ১৪ চারে। চলতি বছর এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং ৩৮ টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম। নতুন করে টাইগারদের নেতৃত্ব পেয়ে তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস খেলেন নাজমুল। অধিনায়ক হিসেবে ১৫ টেস্টে এটা চার নম্বর সেঞ্চুরি।
নাজমুল বাহিনী দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ১ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে। ১৬৯ রানে অপরাজিত থেকে ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৮০ রানে অপরাজিত থেকে ১৪ নম্বর সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক। দুজনই ফিরে যান দিন শুরুর ১৯ বলের মধ্যে। দিন শুরুর নবম বলে ব্যক্তিগত ১৭১ রানে মাহমুদুল ও ১৯তম বলে ব্যক্তিগত ৮২ রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। এরপর দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক নাজমুল। ৯৯ টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭৯ রান। মুশফিক আউট হন ২৩ রানে। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে টি-২০ অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে যোগ করেন ৯৮ রান। লিটন আউট হন ৬৬ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬০ রান করে। নাজমুল আউট হন ১২৮.৪ ওভারে দলীয় ৫৪৫ রানে। আইরিশদের পক্ষে ম্যাথু হ্যাম্পশায়ার ১৭০ বলে ৫ উইকেট নেন। ৩১০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারায় সফরকারীরা। পল স্টার্লিং রান আউট হন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। বাকি ৪ উইকেটের দুটি নেন অভিষেক টেস্ট খেলা হাসান মুরাদ এবং একটি করে নেন নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলাম।