তারকাদের খবর তো আমরা সবাই জানি। তাদের বাবা-মায়ের খোঁজ আমরা কয়জন রাখি? বাবা-মা তারকা হলে সে খবর জানা হয়। তা না হলে আড়ালেই থেকে যান তারা। কয়েকজন তারকার বাবা-মায়ের খোঁজ জানিয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
রাজ্জাক
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আকবর হোসেন ও মাতার নাম নিসারুননেছা। রাজ্জাকের বাবা ছিলেন কলকাতার নাকতলা এলাকার জমিদার।
শাবানা
অভিনেত্রী শাবানার বাবা ফয়েজ চৌধুরী ঢাকার আদালতে একজন টাইপিস্ট ছিলেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নাম লেখান।
ববিতা
তাঁর বাবা নিজামুদ্দীন আতাউর একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা বি. জে. আরা ছিলেন একজন চিকিৎসক। ববিতার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে যশোরে। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে বড় বোন সুচন্দা ও ছোটবোন চম্পা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
ফারুক
অভিনেতা ফারুক ১৮ আগস্ট ১৯৪৮ সালে গাজীপুরের কালীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আজগার হোসেন পাঠান ছিলেন একজন জমিদার। তাঁর শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
আলমগীর
অভিনেতা আলমগীর ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর একজন অন্যতম প্রযোজক ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নবীনগর।
ফেরদৌসি মজুমদার
ফেরদৌসী মজুমদারের জন্ম বরিশালে হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। তাঁর বাবা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী ছিলেন ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর ভাইবোন ছিল মোট ১৪ জন। আট ভাই এবং ছয় বোন। সবার বড় ভাই কবীর চৌধুরী এবং মেজভাই শহীদ মুনীর চৌধুরী। ‘দারুল আফিয়া’ নামের বাড়িতে তাঁর শৈশব কেটেছে। তাঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল নোয়াখালীতে।
আফজাল হোসেন
অভিনেতা আফজাল হোসেন ১৯৫৪ সালের ১৯ জুলাই তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাতক্ষীরার পারুলিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আলি আশরাফ হোসেন ছিলেন একজন মেডিকেল অফিসার। তাঁর ভাইয়ের নাম আলফাজ হোসেন এবং বোন রুমানা আফরোজ।
জাহিদ হাসান
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের নিভৃত একটি গ্রাম চাঁদ পাল। ওই গ্রামেই জন্ম জাহিদ হাসানের। সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাহিরগোলা সড়কে তাঁর বাড়ি। বাবা মরহুম ইলিয়াছ উদ্দিন তালুকদার ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা রত্নগর্ভা হামিদা খাতুন। পাঁচ ভাই, তিন বোনের সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং সরকারি চাকরিজীবী। চক্ষুবিশেষজ্ঞ এক ভাই ছাড়া সবাই দেশের বাইরে বসবাস করছেন।
নাঈম
চিত্রনায়ক নাঈম। পুরো নাম খাজা নাঈম। নবাব আহসানউল্লাহর বংশধর নাঈমের বাবা খাজা মুরাদ ছিলেন একজন নামকরা ব্যবসায়ী।
শাকিল খান
চিত্রনায়ক শাকিল খানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম শহরের কাতালগঞ্জ। তার বাবা ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।
শাকিব খান
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় রাঘদি ইউনিয়নের রাঘদি গ্রামের মমিনুদ্দীন শেখের তিন ছেলে। তিনজনই ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। এই তিনজনের একজন আবদুর রফ শেখ। আবদুর রফের একমাত্র ছেলে আজকের শাকিব খান। চলচ্চিত্রে নাম লেখানোর আগে শাকিব খানকে মাসুদ রানা শেখ বলেই সবাই জানত। শাকিবের মা গৃহিণী।
মোশাররফ করিম
বাবা করিম খলিফা ছিলেন একজন পল্লি চিকিৎসক ও মা মমতাজ বেগম ছিলেন গৃহিণী। মোশাররফ করিমের গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী।
বিদ্যা সিনহা মিম
মা ছবি সাহা গৃহিণী। বাবা অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ সাহা। তিনি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নুসরাত ফারিয়া
বাবা মাজহারুল ইসলাম পেশায় একজন ব্যবসায়ী, মা ফেরদৌসী পারভীন শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। মায়ের বুটিক হাউসও রয়েছে।
উর্মিলা শ্রাবন্তী কর
বাবার নাম ব্রিগেডিয়ার (অব.) অনন্ত কুমার কর। তিনি আর্মি অফিসার ছিলেন। ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর তিনি মারা যান। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও। ১৯৭১ সালে উর্মিলার বাবা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই সময় টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন।
প্রসূন আজাদ
বাবা আজাদ হোসেন এবং মা শাহানা আজাদ, দুজনই পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা।
শবনম ফারিয়া
অভিনেত্রী শবনব ফারিয়ার বাবা চিকিৎসক মীর আবদুল্লাহ। ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই তিনি মারা যান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। শবনম ফারিয়ার মা গৃহিণী। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। ফারিয়া জন্মের পর সংসারে সময় দেওয়ার জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।